ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সীতাকুণ্ডে চাদাঁ না দেওয়ায় খামার ভাঙচুর,হত্যার হুমকি

এম হেদায়েত,সীতাকুণ্ড

প্রকাশিত : ২১:৩৩, ৫ জুন ২০২০ | আপডেট: ২২:১৩, ৫ জুন ২০২০

সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ের মুসা কলোনী সংলগ্ন আমতল এলাকায় এক খামারির কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে না পেয়ে খামার ভাঙচুর, ছাগল চুরি করে খামারীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। 

স্থানীয় মহিলা মেম্বারের ছেলেসহ একদল সন্ত্রাসী বাড়কুণ্ডের চৌধুরী পাড়ার জালাল আহম্মদের ছেলে খামারি সাদ্দাম এর কাছ থেকে  ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় খামারি ভাঙচুর করে। এতে খামারের কেয়ারটেকার চাঁন মিয়ার ছেলে কায়ছার (২৫) বাঁধা প্রদান করলে তার উপর হামলা করে গুরুতর অবস্থায় রেখে খামার থেকে ৬টি ছাগল নিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে খামারি সাদ্দাম জানান, আমি অনেক কষ্টের বিনিময়ে কিস্তির টাকা দিয়ে ঘর তৈরি করে ৩০টি ছাগল ও একটি ঘোড়া নিয়ে খামার চালু করি। খামারটি চালু করার পর থেকে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার পারুল আক্তারের ছেলেসহ একদল সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদা দাবি করে। তাদের চাঁদা না দিলে খামার ছেড়ে চলে যেতে বলে। চাঁদা না দেওয়ায় আমি ও আমার কর্মচারী উপর হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্রসস্ত্রসহ কর্মচারীর ছেলেকে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে। 

এরপর আমার খামার ঘরটি চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কেটে তছনছ করে দেয়। খামার থেকে ৬টি বড় ছাগল নিয়ে যায় সন্ত্রসীরা। প্রাণে রক্ষা পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। 

ঈদের দিন আমি দীর্ঘক্ষণ থানায় অবস্থান করার পর ডিউটি অফিসার বলেছেন,আজ ঈদ কোন মামলা নেওয়া হবে না। বৃহস্প্রতিবার (৪ এপ্রিল) চাঁদা দাবি করে চাঁদা না দিলে প্রকাশ্যে হত্যার করার হুমকি দিয়ে যায় সন্ত্রাসী বাহিনী।

এ বিষয়ে জানতে মহিলা মেম্বার পারুলকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান, চাঁদা দাবি ও ছাগল চুরির বিষয়টি সঠিক না,তবে আমার ছেলেসহ এলাকার লোকজন তার যে ঘর ভেঙ্গেছে সেটা মদ তৈরি করার ঘর। তবে ঘর ভাঙ্গার বিষয়টি বিচার করে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার জন্য বৈঠকের প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ওসি তদন্ত শামীম শেখ বলেন,বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আর মামলা দেওয়ার জন্য আসলে অবশ্যই মামলা নেওয়া হবে।
কেআই/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি