ঢাকা, রবিবার   ০৩ আগস্ট ২০২৫

সেনা মোতায়েন ও ‘না’ ভোটের প্রস্তাব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১৫, ৩১ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৭:৪৪, ৩১ জুলাই ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘না’ ভোট রাখা এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে একমত হয়েছেন সুশীল সমাজের বেশির ভাগ প্রতিনিধি। সোমবার বেলা ১১টার দিকে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের থেকে সংলাপ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংলাপে ৫৯ জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও অংশ নিয়েছেন ৩০ জন।

দুপুর দেড়টার দিকে সংলাপ শেষ করে বের হয়েছেন সুশীল সমাজের ৭ জন প্রতিনিধি। তারা প্রায় প্রত্যেকেই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনা মোতায়েনের ওপর জোর দিয়েছেন। একই সঙ্গে ‘না’ ভোটের কথাও বলেছেন তারা।

গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সংলাপ শেষে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের বলেন, ইসির প্রথম কাজ আস্থা অর্জন। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনা মোতায়েন করতে হবে। ‘না’ ভোটের বিধানও রাখতে হবে। এসব বিষয়ে বেশির ভাগ প্রতিনিধি ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।

তিনি আরও বলেন, ইসিকে জনমানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। ইসি দৃঢ় এবং স্বাধীন ভূমিকায় আছে এটা দৃশ্যমান হতে হবে। এটি সবচেয়ে বড় কাজ। কিছু বিষয়ে আইনের দুর্বলতা আছে। সেগুলো সংস্কার করে ঘাটতিগুলো পূরণ করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, সেনাবাহিনীকে যদি ফিলিং স্টেশন, রাস্তা নির্মাণের কাজে ব্যবহার করা যায় তাহলে কেন নির্বাচনে দায়িত্বপালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে যাতে সবাই নির্বাচনে আসতে পারে। প্রার্থী, পোলিং এজেন্টদের ভয় দূর করতে হবে।

‘না’ ভোট প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, না ভোট যেন রাখা হয়। পৃথিবীর অনেক দেশে না ভোট আছে। তিনি আরও বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের কোনো সুযোগ যেন না থাকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তাসনীম আরিফা সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজই জনগণের মতকে তুলে ধরা। সেটা করতে গিয়ে বাধা আসবেই। ইসি যদি জনগণের অধিকার রক্ষায় কাজ করে তাহলে জনগণ তাঁদের পছন্দ করবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার কথা বলেন তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সেনা মোতায়েনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেনা মোতয়েন ‘দৃশ্যমান’ করতে হবে। নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। ইসি একতরফাভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েনের কথা বলেছেন। একই সঙ্গে ‘না’ ভোটের কথাও বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই ইসি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে রোডম্যাপ প্রকাশ করে। এই কর্মপরিকল্পনায় সাতটি বড় বিষয়ের ওপর কার্যক্রম নেওয়ার পরিকল্পনা করে। এর মধ্যে বড় একটি বিষয় ছিল সংলাপ।

ডব্লিউএন

 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি