ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সৈয়দ আশরাফের তিন দফা জানাজা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৪৩, ৪ জানুয়ারি ২০১৯

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে ঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহে তিন দফা জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে আগামী রোববার (৬ জানুয়ারি)।    

শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ব্যাংকক থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছাবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলটির জাতীয় নেতারা তার মরদেহ গ্রহণ করবেন।  

এতে বলা হয়েছে- সন্ধ্যা ৭টায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ ২১ বেইলি রোডের তার সরকারি বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে।

পরদিন রোববার (৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।  

এরপর হেলিকপ্টার যোগে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর নিজ জেলা কিশোরগঞ্জে। সেখানে দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে।

এরপর তৃতীয় জানাজা দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাঁ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে মরদেহ ঢাকায় নিয়ে এসে বাদ আছর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন আদর্শবান-ত্যাগী-নিবেদিতপ্রাণ ও সর্বজনস্বীকৃত এই নেতা।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম (৬৭)। তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে জয়ী হন সৈয়দ আশরাফ।   

২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই সৈয়দ আশরাফ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন। অসুস্থতার কারণে তিনি গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন।

প্রসঙ্গত, দেশে ফিরে শপথ নিতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে সময় চেয়ে নিয়েছিলেন মুজিবনগর অস্থায়ী সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। কিন্তু তা আর হলো না। অগণিত নেতাকর্মী আর শুভানুধ্যায়ীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন সবার প্রিয়ভাজন আশরাফ।

এদিকে সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুর খবরের সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে পড়ে। নিমিষেই ফেসবুক পোস্টে ভাইরাল হতে থাকে সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুর খবর।

বৃহস্পতিবার রাতেই শোক জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা।

তাঁর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগসহ দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সৈয়দ আশরাফেরে মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানান।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি