ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

হাতির মৃত্যুতে তিন সন্দেহভাজন চিহ্নিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫১, ৫ জুন ২০২০

অন্য দুটি হাতির সাহায্যে বনবিভাগের কর্মীরা মৃত হাতিটি নদী থেকে তুলছে। ছবি: সংগৃহীত

অন্য দুটি হাতির সাহায্যে বনবিভাগের কর্মীরা মৃত হাতিটি নদী থেকে তুলছে। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কেরালা রাজ্যে দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা হাতিটি মারা যাওয়ার পর বন বিভাগের এক কর্মকর্তা সোশাল মিডিয়াতে এনিয়ে পোস্ট দিলে সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়। এই ঘটনায় রাজ্যের মল্লপুরমের তিনজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছে তদন্তকারী দল। আজ এ কথা জানিয়েছেন কেরালা মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারও। রাজ্যের কাছে ঘটনাটির রিপোর্ট চেয়েছে প্রশাসন।

কেরালার বন বিভাগ বৃহস্পতিবার জানিয়েছিল, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর এ দিনই মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছিলেন, ‘‘দোষীদের গ্রেফতার করার জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’’ এর পরই আজ বনবিভাগের তদন্তকারী দল তিনজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেন।

ময়না তদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, বেশ কয়েক দিন আগেই ওই আঘাত পেয়েছিল হাতিটি। ফলে সে ভাল করে খেতে পারেনি। চেহারাও শীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, গ্রামে বাজি ভরা ফল খেয়ে নীচের চোয়াল ও জিভে গুরুতর আঘাত পায় হাতিটি। পরে ভেলিয়ার নদীতে গিয়ে তিনদিন দাঁড়িয়েছিল। বন বিভাগ প্রশিক্ষিত হাতির সাহায্যে তাকে তীরে তুলতে চাইলেও পারেনি। সেখানেই হাতিটি মারা যায়। 

জানা যায়, ওই এলাকার খেতের ফসল বুনো শূয়োরের হাত থেকে বাঁচাতে খাবারে বিস্ফোরক ভরে রাখার প্রচলন আছে। এ নিয়ে আগেও বহু বার সমালোচনা হয়েছে বিভিন্ন শিবির থেকে। তবে মৃত হাতিটি তেমন ফল খেয়েই আঘাত পেয়েছে কি না, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

কেরালা মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারী দল। কেরালা পুলিশের ১০ জন সদস্যের একটি টিম এই ঘটনার তদন্ত করছে। তারা মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে হাতিটির গতিবিধির একটি চিত্র তৈরির চেষ্টা করছে। 

অপরদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, ‘‘বাজি খাইয়ে খুন করা ভারতীয় সংস্কৃতি নয়। দোষীদের গ্রেফতার করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হবে।’’

এছাড়া দেশটির ‘প্রজেক্ট এলিফ্যান্ট’ নামক সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে,  ঘটনাটি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে কেরালার ওই এলাকায় তাদের একটি দল যাবে। তাদের মতে, এটা ‘গুরুতর অপরাধ’। সূত্র: আনন্দবাজার

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি