ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪

ভারতীয় গরু প্রবেশ বন্ধ

৪ বছর পর দাম পাওয়ার আশায় চাঁপাইয়ের খামারিরা

ফারুক আহমেদ চৌধুরী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

প্রকাশিত : ১৪:০২, ১৪ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৪:৩০, ১৪ আগস্ট ২০১৮

সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতীয় গরু প্রবেশ বন্ধ থাকায় দাম নিয়ে ব্যাপক আশাবাদি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গরু খামারিরা। ২০১৪ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্তে বিট খাটাল নীতিমালা জারির পর থেকে টানা ৪ বছর লোকশান গুনতে হয়েছে খামারিদের। তবে গত এক সপ্তাহ থেকে বিট খাটালের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতীয় গরু প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। এতে আশার আলো দেখছেন এ অঞ্চলের খামারিরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে খামারিরা প্রায় ৭৯ হাজার গরু-মহিষ প্রস্তুত করেছে। লাভের আশায় প্রাকৃতিক উপায়ে গবাদিপশু মোটাতাজা করতে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন গরু ব্যাবসায়ীরা। কোরবানির বাজারের চাহিদা অনুযায়ী খামারিরা বিভিন্ন আকৃতির গরু পালন করছেন। আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গরুর খামারীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ।

খামারিরা বলছেন-গরুর খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায়, ব্যয় বেড়েছে। এখন যদি ভারতীয় গরু প্রবেশ করে তাহলে ন্যায্য মূল্য পাওয়া সম্ভব নয়। ফলে ব্যাপক লোকশানে পড়তে হবে তাদের। তারা বলছেন, চার বছর থেকে সীমান্ত পথে বৈধ অবৈধ দুই ভাবেই বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ভারতীয় গরু। এর প্রভাবও পড়ছে খামারিদের উপর। ফলে বিগত কোরবানি ঈদগুলোতে ব্যপক লোকশানে পড়তে হয়েছে।

তবে এবার ঈদে তারা দাম নিয়ে আশাবাদি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের তেররশিয়ার গরু ব্যবসায়ী সেতাউর রহমান বাদশা জানান, গত বছর ভারতীয় গরু প্রবেশ করায় কয়েক লাখ টাকা লোকসান হয়েছিল। গত এক সপ্তাহ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত পথ দিয়ে গরু আসছে না। এ কারণে উর্ধমুখী কোরবানি গরুর দাম। যা আমাদের জন্য সুখবর।

গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালার খামারী মোস্তফা জানান, এক বছরে একটি গরু লালন করতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমান বাজারে গরুর চাহিদা অনুযায়ী দামও ভাল রয়েছে। তবে সীমান্তপথে ভারতীয় গরু আসতে শুরু হলে তাদের বড় ধরনের লোকশান গুনতে হবে। একই অভিযোগ করেছেন, নাচোল, শিবগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের একাধিক গরু খামারী।

জানা গেছে, প্রায় বছর ধরে কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গরু মোটাতাজাকরণ করছেন খামারীরা। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা হচ্ছে এসব গরু। খামারিদের দাবী, গরু মোটাতাজা করনে ক্ষতিকর স্টেরয়েড বা ইনজেকশন ব্যবহার করেন না। তবে গো-খাদ্যের দাম বেশি ও সেই সঙ্গে ভারতীয় গরু আমদানি শুরু হলে খামারিদের লোকসানের দুঃশ্চিন্তা রয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ডা: আনন্দ কুমার অধিকারী জানান, প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জেলায় এবার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার। জেলার ৫ উপজেলায় ৫ হাজার ৮’শ ৭৯ টি খামারে ৭৮ হাজার ৯’শ ৮৭ টি গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া পারিবারিকভাবে পালন করা হচ্ছে অনেক গবাদিপশু। জেলায় দেশী গরু দিয়ে কোরবানির চাহিদা পুরণ করা সম্ভব বলে জানান প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি