৪টার মধ্যেই দোকান-বিপণী বিতান বন্ধের নির্দেশ
প্রকাশিত : ২০:৪৩, ১৫ জুন ২০২০

দোকান-পাট বন্ধের চিত্র
মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন স্থানকে আক্রান্ত বিবেচনায় রেড, ইয়োলো এবং গ্রিন জোনে বিভক্ত করেছে সরকার। এর মধ্যে রেড, ইয়োলো জোনগুলোকে ১৬ জুন (মঙ্গলবার) থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত অবরুদ্ধ রাখা হলেও গ্রীন জোনভুক্ত এলাকার দোকানপাট, শপিংমলগুলো চালু থাকবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই। তবে তা অবশ্যই বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। সোমবার (১৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক নির্দেশনা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
নতুন এই নির্দেশনামতে, এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খোলা থাকবে সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আগের মতোই চলবে গণপরিবহনও (বাস, লঞ্চ ও ট্রেন)।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশনায় আরও বলা হয়- হাটবাজার, দোকানপাটে ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আগত যানবাহনগুলোকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাটবাজার, দোকানপাট এবং শপিংমলগুলো আবশ্যিকভাবে বিকাল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।
এতে বলা হয়, ‘লাল অঞ্চলে অবস্থিত সামরিক বা অ-সামরিক সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বয়ত্তশাসিত বা বেসরকারি দপ্তরগুলো এবং লাল অঞ্চলে বসবাসকারী এসব দপ্তরের কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন।'’
এ সময়ে অনুমোদিত অঞ্চলে নির্দিষ্ট যাত্রী নিয়ে গণপরিবহণ, যাত্রীবাহী নৌযান, রেল ও বিমান চলাচল করতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে ‘মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক জারি করা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে’ বলে জানানো হয়েছে আদেশে।
এদিকে অন্যসব প্রতিষ্ঠান ‘সীমিত আকারে’ খুলে দেয়া হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাড়ানো হয়েছে ছুটি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৬ অগাস্ট পর্যন্ত' বাড়ানো হয়েছে বলে জানানো হয়৷
বেশি আক্রান্ত এলাকাকে রেড, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়োলো ও একেবারে কম আক্রান্ত বা আক্রান্ত মুক্ত এলাকাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। রেড জোনকে লকডাউন করা হবে, ইয়োলো জোনে যেন আর সংক্রমণ না বাড়ে সেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। সতর্কতা থাকবে গ্রিন জোনেও। লকডাউনের মেয়াদ হবে ১৪ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত।
করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি ঢাকায় ৪৫টি এলাকাকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে তা লকডাউনের সুপারিশ করেছে। এরমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৮টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি এলাকা রয়েছে। রয়েছে চট্টগ্রামের ১০টি এলাকা।
এনএস/
আরও পড়ুন