ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ জুলাই ২০২৫

ইংল্যান্ডকে হটিয়ে সেমিতে যাবে বাংলাদেশ!

প্রকাশিত : ২০:১৩, ২৩ জুন ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপের আসরটা জমিয়ে তুলল শ্রীলঙ্কা! কে জানত, হেডিংলিতে শ্রীলঙ্কার কাছে ধরাশায়ী হবে শক্তিধর ইংল্যান্ড। কিন্তু চোয়ালবদ্ধ লড়াইয়ে তুলে নেয়া জয়ে স্বাগতিকদের শেষ পর্যন্ত মাটিতে নামাতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা। আর শুরু থেকেই উড়ন্ত ইংল্যান্ড পড়ন্ত বিমানের মতো ‘ক্র্যাশ ল্যান্ডিং’ করার পরই বিশ্বকাপটা কঠিন হয়ে গেছে তাদের জন্য।

বিশ্বকাপের আগে থেকেই ইংল্যান্ডকে দেখা হচ্ছিল সেমিফাইনালে সম্ভাব্য চার দলের একটি হিসেবে। প্রত্যাশা মিটিয়েই পারফর্ম করছিল ইয়ন মরগানের দল। কিন্তু লঙ্কানদের কাছে হারের পর সেমিতে ওঠার সমীকরণ তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে ইংল্যান্ড। দলটির হাতে রয়েছে আরো তিন ম্যাচ। এই তিন ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ—ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় দল ভারত আর সবশেষ বিশ্বকাপের রানার্সআপ চরম ধারাবাহিক নিউজিল্যান্ড।

এই তিন ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে ইংল্যান্ডের। রানরেট ভালো থাকায় এর মধ্যে দুটি ম্যাচ জিতলেও নিশ্চিত হতে পারে সেমিফাইনাল। এমনকি একটি ম্যাচ জিতলেও মরগানের দলকে দেখা যেতে পারে শেষ চারে, তবে সে ক্ষেত্রে অন্যান্য ম্যাচের ফল নিজেদের পক্ষে থাকতে হবে। কিন্তু ইংল্যান্ড তাদের বাকি তিন ম্যাচে জিতলে কোনো সমীকরণের দরকার পড়বে না।

কিন্তু ইতিহাস বলছে ভিন্ন কথা। যা ইংল্যান্ডের পক্ষে নেই। আর সেটা সেই ১৯৯২ বিশ্বকাপ থেকে। সেবারের সংস্করণ থেকে এ তিন দলের বিপক্ষে সব মিলিয়ে ১০ ম্যাচ খেলে একবারও জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। অর্থাৎ গত ২৭ বছরে মোট সাতটি বিশ্বকাপে এ তিন দলকে হারাতে পারেনি তারা।

মরগান অবশ্য আশাবাদী, ‘আমরা হারলে অনেক ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। আশা করি, সেটাই যেন হয় (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে)।’ কেননা, লর্ডসেই যে মঙ্গলবার নিজেদের পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে মরগান বাহিনী।

অন্যদিকে বাংলাদেশ যদি তাদের বাকি তিন ম্যাচে জিতে যায়, তাহলে ইংল্যান্ডকে হটিয়ে সেমিতে যাবে মাশরাফি বাহিনী। টাইগারভক্তদের একমাত্র চাওয়া এখন সেটাই।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি