ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫

গাইবান্ধার ভাষা সৈনিক কার্জন আলী পাননি রাষ্ট্রীয় সম্মাননা

প্রকাশিত : ১৩:৪৪, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১৩:৪৪, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

গাইবান্ধার ভাষা সৈনিকদের একজন কার্জন আলী। ভাষা আন্দোলন ছাড়াও, আজীবন সংগ্রাম করেছেন সাধারণ মানুষের জন্য। অথচ তার মৃত্যুর পর স্ত্রী ও ছেলেরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ভাষা সংগ্রামী, মুক্তিযোদ্ধা কার্জন আলী পাননি কোন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা। তবে, তার স্মৃতি সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। গাইবান্ধার ঠাকুরের দীঘি উত্তর খোলাহাটি গ্রামে জন্ম কার্জন আলীর। ছাত্রাবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ৫২’র ভাষা আন্দোলনে গাইবান্ধায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি। এজন্য তৎকালীন সরকার গ্রেফতার করে তাকে। ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় চাকরি ছেড়ে সংগঠক হিসে্েধসঢ়;বও কাজ করেন। ২০০৫ সালের প্রথম দিকে তিনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হন । অসচ্ছলতার কারনে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধার বাইরে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি তাঁকে। রোগে ভুগে ২০১১ সালের ৮মে গাইবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি । মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম থাকায় মৃত্যুর পর তাকে দেয়া হয়নি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা । ৪৫ বছর পর কার্জন আলীকে মুক্তিযোদ্ধার সংগঠক হিসাবে ২০১৬ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হয় । কিন্তু এর আগে দেয়া হয়নি কোন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা বা সুযোগ সুবিধা। মহান ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছিলো । গাইবান্ধায় সেই সময় যারা লড়াকু ভুমিকা পালন করেছিলেন তারা ইতিহাসের একটি অংশ । ভাষাসংগ্রামী কার্জন আলীর স্মৃতি চিহ্ন হিসাবে একটি সড়কের নাম করন ও কবরটি সংরক্ষন করা হোক এটাই প্রত্যাশ্ধাসঢ়; গাইবান্ধাবাসীর ।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি