ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের গোপন সম্পর্কের নেপথ্যে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৯, ২১ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৫:৪৯, ২১ মার্চ ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

ব্রিটেনে সাবেক রুশ গুপ্তচরকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এরইমধ্যে মিত্ররাষ্ট্র যুক্তরাজ্য রাশিয়ার ২৩ কূটনীতিককে বহিষ্কার করলেও, এ নিয়ে টুঁ শব্দটিও করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে রাশিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ঘটনায় রিপাবলিকানদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিলেও, সে বিষয়েও পুতিন সম্পর্কে কোন প্রকাশ্য সমালোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ট্রাম্প। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুতিন সম্পর্কে এত নমনীয় কেন?

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানায়, রাশিয়া ইস্যুতে যেই যাই বলুক না কেন, কাউকেই তোয়াক্কা করছেন না ট্রাম্প। বিশেষ করে পুতিনের সঙ্গে তাঁর উষ্ণ সম্পর্ক নিয়ে রিপাবলিকান দলের অনেক সিনেটরসহ, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি ও দেশটির মিত্ররা রাশিয়া ও পুতিনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও ট্রাম্প চলছেন উল্টো পথে। গত মঙ্গলবার পুতিনের বিরুদ্ধে কোন প্রতিক্রিয়া জানাতে সরাসরি অস্বীকৃতি জানানোর পরই পুতিনের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, ব্রিটেনে নার্ভ গ্যাস প্রয়োগের মাধ্যমে রাশিয়া দেশটির গুপ্তচর হত্যাচেষ্টা চালিয়ে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চাইছে। আর মিত্র রাষ্ট্রে এ ধরণের হামলা চালিয়ে প্রকৃতপক্ষে রাশিয়া মার্কিন গণতন্ত্রের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করছে ট্রাম্প প্রশাসন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে পক্ষপাতমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন বলেও আখ্যা দিয়েছেন সিনেটররা। এ জন্য পুতিনের সঙ্গে আলাপকালে পুতিনকে এসব বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়ার কথা বলা হলেও তিনি সিনেটর ও পরামর্শকদের কথা কানে তুলেননি।

এর আগে পুতিনের সঙ্গে টেলিফোন আলাপকালে পুতিনকে অভিনন্দন জানাতে নিষেধ করা হয় ট্রাম্পকে। কিন্তু ট্রাম্প তাদের সেই কথাতে না চলে, হেঁটেছেন নিজের পথে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, ট্রাম্প কেন পুতিনের সঙ্গে কোন ধরণের দ্বন্দ্বে যেতে চাইছেন না। অনেকেই প্রশ্ন তোলেছেন, পুতিনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে ট্রাম্প বিরাগভাজন হতে চাচ্ছেন না। বিশেষ করে, পুতিনের সঙ্গে লড়লে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে পারে, এই ভয়েই পুতিন সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে নারাজ ট্রাম্প। সিএনএন বলছে, ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়টি প্রমাণিত হলে প্রেসিডেন্ট পদ খোয়াবেন ট্রাম্প। সে ক্ষেত্রে পুতিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক বজায় রাখাটা একান্ত জরুরি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সমপর্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়ার প্রতি উদ্বিঘ্ন ট্রাম্প প্রশাসন।

সূত্র: সিএনএন
এমজে/

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি