ঢাকা, বুধবার   ০৯ জুলাই ২০২৫

মরুভূমিতে উমাইয়া রাজবংশের প্রাসাদ সংস্কার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫৫, ৩০ অক্টোবর ২০২১

প্রায় ১৫০ বছর আগে হিশাম প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করা হয়।

প্রায় ১৫০ বছর আগে হিশাম প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করা হয়।

Ekushey Television Ltd.

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোজাইকের মেঝেগুলোর একটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দিয়েছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরের শহর জেরিকোতে হিশাম প্রাসাদের মেঝে এটি। এটি সংস্কার করতে পাঁচ বছর সময় লেগেছে। খরচ পড়েছে এক কোটি ২০ লক্ষ ডলার।

হিশাম প্রাসাদের মেঝেতে যে মোজাইক ব্যবহার করা হয়েছে তা এক হাজার বছরেরও বেশি পুরনো। ১৯শ শতকে এই প্রাসাদটি আবিষ্কৃত হয়। কিন্তু আবিষ্কৃত হওয়ার পরও প্রসাদটি মেরামতের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়েছিল। ২০১৬ সালে জাপান সরকারের অর্থ সহায়তায় এর সংস্কারের কাজ শুরু হয়।

হিশাম প্রাসাদের মেঝেতে ব্যবহার হওয়া মোজাইকের প্যানেলগুলির প্রতিটির আয়তন ৮৩৫ বর্গমিটার। এই মেঝেতে ৫০ লক্ষ মোজাইক এবং মোজাইকের ছোট টুকরো ব্যবহার করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা আশা করছেন, মেঝের সংস্কারের পর হিশাম প্রাসাদ একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে।

এখানে মোজাইকে যেসব ছবি রয়েছে তার মধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে একটি হরিণ এবং দুটি গেজেল। হরিণের ছবির অর্থ যুদ্ধ, আর গেজেলের ছবির অর্থ শান্তি।

উমাইয়া রাজবংশের আমলে নির্মিত এই হিশাম প্রাসাদ ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। উমাইয়া রাজবংশ ৬৬০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজ্য শাসন করেছে। সূত্র: বিবিসি

এসি
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি