যেসব কারণে পারভেজ মোশাররফের ফাঁসি
প্রকাশিত : ১০:৩১, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১২:২৭, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯

রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল (অব.) পারভেজ মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির বিশেষ আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার বিশেষ আদালতের তিন সদস্যের বিচারকের একটি প্যানেল এ রায় ঘোষণা করে।
বিচারকদের এই প্যানেলে ছিলেন পেশওয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার শেঠ, সিন্ধ হাই কোর্টের বিচারপতি নজর আকবর এবং লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি শহীদ করিম।
দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের পক্ষে আইনজীবী আলী জিয়া বাজওয়া সাবেক এই সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন।
২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন পারভেজ মোশাররফ। রাষ্ট্রদ্রোহ, জরুরি অবস্থা জারি, বেআইনি উপায়ে বিচারপতি বরখাস্ত, বেনজির ভুট্টো হত্যা এবং লাল মসজিদ তল্লাশি অভিযান-সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক এই পাক সেনাপ্রধান।
২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা জারির অভিযোগে দেশটির আদালতে মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে এই মামলার রায় আদালতে ঝুলে ছিল।
ইমরান খানের সরকার দেশটির ইতিহাসে ঐতিহাসিক এ রায় ‘পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা’ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও মিডিয়াবিষয়ক সহকারী ফেরদৌস আশিক আওয়ান।
আওয়ান বলেন, ‘আজ বা গতকালের রায় আমরা পর্যালোচনা করব। আইনি বিশ্লেষকরা সব ধরনের আইনি বিষয়, রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত এবং জাতীয় স্বার্থের বিষয়গুলো নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করা হবে।’
এ রায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যাচ্ছে, এমন আশঙ্কায় সরকার এতে হস্তক্ষেপ করার চিন্তা করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মোশাররফকে পাকিস্তানের ফিরিয়ে আনা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ান বলেন, ‘আইনি টিমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সরকার পর্যালোচনা করবে।’
প্রধানমন্ত্রীর এ নারী সহকারী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রীয় সফর শেষে কাল (বুধবার) দেশে আসছেন। বিশেষ আদালতের রায় নিয়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে নিজেও (ইমরান) পর্যালোচনা করবেন।’
মোশাররফের বিরুদ্ধে সাজা বন্ধ করতে সরকার অনুরোধ করবে কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে আওয়ান বলেন, আইনি টিমের সঙ্গে আলোচনা করেই কেবল এ ব্যাপারে মন্তব্য করব।
আরও পড়ুন