ঢাকা, বুধবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৫

রংপুরের নতুন নগর পিতা মোস্তফা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০০:১৬, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১২:৪৬, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) নতুন নগর পিতা হিসেবে নির্বাচিত হলেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। রসিক নির্বাচনে বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে জয়ী হন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে নির্বাচন করা মোস্তাফিজার রহমান।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণের পর থেকেই শুরু হয় ভোট গণনার কাজ। শহরের পুলিশ লাইনে স্থাপিত অস্থায়ী নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে চলে ভোট গণনার কাজ। ১৯৩টি ভোট কেন্দ্রে মোস্তফা পেয়েছেন এক লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সরফুদ্দীন ঝন্টু পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪০০। অপর দিকে বিএনপি প্রার্থী কাওসার জামান পেয়েছেন ৩৫ হাজার ১৩৬ভোট।

তবে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার আগেই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেন কাওসার। কারচুপি’র অভিযোগে রাত ৯টার দিকেই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। তবে নিজেদের হার বুঝতে পেরেই কাওসার কারচুপির অভিযোগ এনেছেন বলে মন্তব্য করেন মোস্তফা। অন্যদিকে ফলাফল ঘোষণার আগে বিজয় উদযাপন শুরু করেন মোস্তফা সমর্থিত কর্মীরা। রংপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় আনন্দ মিছিল এবং মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায় তার সমর্থকদের।

বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মোস্তফা বলেন, এ বিজয় রংপুর বাসীর। এ বিজয় হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের বিজয়। রংপুর বাসী আবারও প্রমাণ করল যে, রংপুরের মাটি, জাতীয় পার্টির ঘাটি। আমাকে যারা কটাক্ষ করেছে, হুমকি দিয়েছে, তাদের জন্য জবাব এ বিজয়। নির্বাচনী প্রচারণাকালে যেসব অঙ্গিকার আমি করেছি সেগুলো বাস্তবায়নের সর্বাত্মক কাজ করে যাব”। এসময় সংশ্লিষ্ট সবার সাহায্যও চান তিনি। সুন্দর নগরী গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মোস্তফা।

এর আগে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেবার দলীয় মার্কাবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মেয়র নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির নেতা সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। এবারের দলীয় নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের জন্যই মোস্তফা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বলে মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবারই নজরের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল রসিক নির্বাচন। এ নির্বাচনেই প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়।

দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত রসিক নির্বাচনের মাধ্যমে নগরের দ্বিতীয় ‘মেয়র’ হতে যাচ্ছেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। সাবেক মেয়র  সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুর স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।  

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ নভেম্বর রসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। প্রথমবার দলীয় প্রতীকে হওয়া এ নির্বাচনে মেয়র পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোট  সাত জন প্রার্থী। ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২১১ জন প্রার্থী। অন্যদিকে ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ৬৫ জন নারী প্রার্থী।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি