ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫

‘রাহুলই ‘ঘৃণার সওদাগর: বিজেপি মন্ত্রীরা   

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:১০, ২৩ জুলাই ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

আলোয়ার কাণ্ডে মোদির নতুন ভারতের আদর্শকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তারপরে একযোগে রাহুলের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপি সরকারের মন্ত্রীরা। 

পীযূষ গোয়েল থেকে স্মৃতি ইরানি-সকলেই একযোগে কাঠগড়ায় তুললেন রাহুল গান্ধীকে। পীযূষ গোয়েল তো বলেই দিলেন, রাহুলই হচ্ছেন ঘৃণার সওদাগর।    

এদিকে আলওয়ার গণপিটুনি কাণ্ডে আজ বিরোধীদের হট্টগোলে সংসদ মুলতু্বি ঘোষণা করা হয়েছে।  এরপরই একটি টুইট করেন রাহুল গান্ধী। তুলে আনেন এক পুলিশকর্মীর কথা। যিনি গণপিটুনিতে জখম রাকবর খানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে চা পান করেছিলেন।   

সে ঘটনা উল্লেখ করে রাহুলের প্রশ্ন, এই কি মোদির নয়া ভারত। এখানে ভালবাসার জায়গা নিয়েছে বিদ্বেষ। তাই মানবিকতা-সহানুভূতির কোনো জায়গা নেই। নইলে আহতকে ফেলে কেউ চা খেতে যায়।

মোদিকে ইঙ্গিত করে এই কটাক্ষ করার পর একযোগে আক্রমণে নামের বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।

এর মধ্যে পীযূষ গোয়েল পাল্টা টুইট করে বলেন, দেশে যখনই কোনো হিংসার ঘটনা ঘটে, তখনই তা নিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করতে নেমে পড়েন রাহুল।

তিনি আরো বলেন, মুখে তিনি ভালবাসার কথা বলছেন ঠিকই, কিন্তু সবথেকে বেশি ঘৃণা ছড়াচ্ছেন তিনিই। তাকে ঘৃণার সওদাগর বলে উল্লেখ করেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

ছেড়ে কথা বলেননি স্মৃতি ইরানিও। তিনি তুলে এনেছেন চুরাশির শিখ দাঙ্গার ঘটনা। ইন্দিরা হত্যার পরই যে ঘটনার সূত্রপাত হয়।   

রাহুলের পরিবারকে সেই ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী করে স্মৃতি বলেন, নোংরা রাজনীতি করছেন রাহুল। পীযূষের অভিযোগ ছিল, স্রেফ ভোটের ময়দানে ফয়দা পেতেই এই বিভাজনের রাজনীতির পথ নিয়েছেন রাহুল।

দিনকয়েক আগে আস্থা ভোটের দিন সংসদ থেকে গোটা দেশকে বিদ্বেষ ছড়িয়ে ভালবাসার বার্তা দিয়েছিলেন রাহুল। তা ইতোমধ্যে গোটা দেশে চর্চার বিষয়।

কিন্তু রাহুলের এই ক্রমবর্ধবান জনপ্রিয়তা যে মাথাব্যথার কারণ হবে তা বুঝতে অসুবিদা হয়নি বিজেপির। তাই রাহুলকে ঘৃণার সওদাগর হিসেবে তুলে ধরে পালটা আক্রমণের পথ নিল গেরুয়া শিবির।

এমএইচ/এসি   

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি