রেমিটেন্স প্রবাহে ভাটার টান (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:৫০, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো
টানা উর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর কিছুটা ভাটার টান রেমিটেন্সে। টানা তিন মাস ধরে কমছে প্রবাসী আয়। ওঠা-নামা করছে রপ্তানি আয়ও। বিপরীতে শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতির পাশাপাশি খাদ্যপণ্যের আমদানি বাড়ছে ধারাবাহিকভাবে। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা, রেমিটেন্স আরো কমতে পারে। তবে কাঁচামাল আমদানি বাড়ায় রপ্তানি নিয়ে ইতিবাচক তাঁরা।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। যেখানে রেমিটেন্সের পাশাপাশি অবদান রেখেছে রপ্তানি আয়ও। ২০২০-২১ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে মোট আয় ছিল ৩৮ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার, সঙ্গে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪ বিলিয়ন ৭৮ বিলিয়ন ডলার। বিপরীতে পণ্য ও সেবা মিলিয়ে মোট আমদানি ব্যয় ছিল ৬০ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার।
তবে হঠাৎ নিম্নমুখী ধারায় রেমিটেন্স প্রবাহ। গত মে মাসে দেশে ২ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স আসে। এরপর জুনে ১ দশমিক ৯১ বিলিয়ন, জুলাইতে ১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন এবং সব শেষ আগস্টে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, পণ্য রপ্তানি থেকে গত মে মাসে দেশে আসে ৩ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। পরের মাস জুনে তা বেড়ে ৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়নে উন্নিত হলেও জুলাইয়ে ৩ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন এবং সব শেষ আগস্টে এসে রপ্তানি আয় দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারে। তবে গত বছরের আগস্টের তুলনায় যা ১৪ শতাংশ বেশি।
বর্তমানে করোনার প্রকোপ কমতে থাকায় বাড়তে শুরু করেছে আমদানি ব্যয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব শেষ তথ্য বলছে, গত জুন মাসে দেশের মোট আমদানি ব্যয় ছিল ৬ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার, আগের মাসে যা ছিল ৪ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রা আয়-ব্যায়ের সার্বিক হিসাব এখনো ইতিবাচক।
অর্থনীতিবিদ ড. মনজুর হোসেন বলেন, সামনে আরও কিছুদিন রেমিটেন্স কমতে থাকবে তবে কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি বাড়ায় রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাবে। সামনে পশ্চিমা দেশগুলো পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড হয়ে তাদের মার্কেট সচল করতে পারবে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।
এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই শেষে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল ৩৩৬ মিলিয়ন ডলার।
ভিডিওতে দেখুন-
এসবি/এনএস//
আরও পড়ুন