ঢাকা, সোমবার   ১৪ জুলাই ২০২৫

রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের মুক্তির আহ্বান জাতিসংঘের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৯, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৬:০৮, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

রোহিঙ্গা নিপীড়নের সংবাদ প্রকাশের দায়ে মিয়ানমারে দণ্ডিত বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের মুক্তির আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির নবনিযুক্ত মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

মিশেল বলেন, যে আইনি প্রক্রিয়ায় দুই সাংবাদিকের দণ্ড হয়েছে তাতে স্পষ্টভাবেই আন্তর্জাতিক মান লঙ্ঘন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এর মাধ্যমে যে বার্তাটি দেওয়া হলো তা হচ্ছে মিয়ানমারের অন্য সাংবাদিকরা ভয়ডর হীনভাবে কাজ করতে পারবে না। তাদের বরং নিজে থেকে সংবাদ প্রকাশ বন্ধ করতে হবে অথবা বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

রাখাইনে সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনের মুখে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিয়ে তথ্য সংগ্রহকারী রয়টার্সের সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) ও কিয়াও সো ওকে (২৮) গতকাল কারাদণ্ড দেন মিয়ানমারের একটি আদালত। গতকাল রাজধানীর ইয়াঙ্গুনের দক্ষিণ জেলা জজ ইয়ে লইন এ ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ করার জন্য তাঁদের দায়ী করা হয়।

মিয়ানমারের ‘হত্যাযজ্ঞের’ বিরুদ্ধে সরব, তখনই সাংবাদিক ওয়া লোন ও কিয়াও সো ও গ্রেফতার হন। তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগে মামলা হয়। তার পর থেকে তাঁরা কারাগারেই ছিলেন। যদিও দুই সাংবাদিক তাঁদের বিরুদ্ধে আনা সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ আগস্ট নিপীড়নের নির্যাতনের মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। একে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নিধন’ বলে আখ্যায়িত করেছে।

পৃথিবীর সব দেশ উদ্বাস্তু-শরনার্থীদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিলেও বাংলাদেশ বিপদগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার এক অনন্য নজীর স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার দাবি করে আসছে। মিয়ানমার সরকার প্রত্যাবাসনের আশ্বাস দিলেও সেই প্রক্রিয়া এক বছরেও শুরু করেনি।

সূত্র : রয়টার্স।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি