ঢাকা, সোমবার   ১৭ নভেম্বর ২০২৫

‘শান্তিরক্ষী নিয়ে বিবৃতিতে শংকা নেই’

অখিল পোদ্দার

প্রকাশিত : ১২:১৯, ১৮ জুন ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

বিশ্বশান্তি রক্ষায় সুনামের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী। ব্যক্তিবিশেষ কিংবা নির্দিষ্ট কোনো সংস্থার বিবৃতিতে তাই শঙ্কার কিছু নেই। শান্তিমিশনে কতোটা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন বাঙালি সেনারা, এবিষয়ে পুরোপুরি অবগত জাতিসংঘ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল নাইম আশফাক চৌধুরী। 

দেশ স্বাধীনের পর ১৯৮৮ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ মিশনে অংশ নেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই একেকটি যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় শান্তি ফেরাতে ডাক এসেছে এদেশের সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী আর পুলিশ সদস্যদের। 

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দেশটির প্রেসিডেন্ট বাইডেন বরাবর চিঠি দেয়। যেখানে শান্তি মিশনে বাংলাদেশী সেনাদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা হয়। অথচ যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় জীবনবাজি রেখে কাজ করায় দ্যাগ হ্যামারশোল্ড পুরস্কারসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত এদেশের শান্তিরক্ষীরা।

মেজর জেনারেল (অব.) নাইম আশফাক চৌধুরী বলেন, “৩৫ বছরে আমরা বিশ্বের নাম্বার ওয়ান হয়েছি। জাতিসংঘের সকলকিছুই রেকর্ডেড। মানে আপনি বললেও জানবে, না বললেও জানবে। একেক দেশের একক মিশনের একেক রকমের অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা দিয়ে আমাদের অর্গানাইজেশন এবং ইনস্টিটিউশনাল অনেক কিছু তৈরি হয়েছে। আমি মনে করিনা যে ভেঙে পড়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”

বিশেষজ্ঞদের অভিমত, জাতিসংঘ জানে বাংলাদেশী সেনারা কতোটা পারঙ্গম। সুতরাং শঙ্কার কিছু নেই। শান্তিরক্ষীদের মনোবল ভাঙতে বিচ্ছিন্নভাবে কেউ কেউ কিছু একটা বলতেই পারে।

মেজর জেনারেল অব. নাইম আশফাক চৌধুরী বলেন, “কোনো বিবৃতির ইম্প্যাক্ট জাতিসংঘে পড়বেই এটা যেমন বলা যাচ্ছেনা আবার একদম পড়বেই না সেটাও বলা যাচ্ছেনা। দেশ হিসেবে আমেরিকা এখনও কিছু বলেনি। অনেকভাবেই আমরা জাতিসংঘের হয়ে অংশগ্রহণ করেছি। সুতরাং যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্বে আমি নিশ্চিত যে, জাতিসংঘ এই বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিবে।”

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি