ঢাকা, রবিবার   ০৩ আগস্ট ২০২৫

সমীক্ষা চালানোর পাশাপাশি কাজও চলবে : তৌফিক ইলাহী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:১৯, ৩১ জুলাই ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে ইউনেসকোর সুপারিশ অনুযায়ী পরিবেশগত সমীক্ষা চালানোর পাশাপাশি কাজও চলবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী। ‍

তিনি বলেন, কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হলে আমরা সেটা নেব। তারা যেমন পরিবেশ বিষয়ে সচেতন, তেমনি আমরাও সুন্দরবনের যাতে ক্ষতি না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক।

সোমবার বিদ্যুৎ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তৌফিক ইলাহী এসব কথা বলেন।

সুন্দরবন এলাকার কৌশলগত পরিবেশ মূল্যায়নের (এসইএ) আগে সেখানে যাতে বড় কোনো শিল্প বা অবকাঠামো নির্মাণ করা না হয়, তা বাংলাদেশ সরকারকে নিশ্চিত করতে বলেছে ইউনেসকো।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পোল্যান্ডের ক্রাকাও শহরে ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪১তম সভায় সুন্দরবন বিষয়ে শুনানিতে এই প্রস্তাব গৃহীত হয় বলে রোববার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।

সুন্দরবনের কাছে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকে ইউনেসকো তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছিল।

ওই সভার পর সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছিল, ইউনেসকো সুন্দরবনের কাছে রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে ‘আপত্তির জায়গা থেকে সরে এসেছে’।

তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রবিরোধী পরিবেশ ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো সরকারের ওই বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে।

পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবন ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ; রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে ইউনেসকোর ওই তালিকা থেকে সুন্দরবনের বাদ পড়ার ঝুঁকিও দেখা দেয়।

তৌফিক ইলাহী বলেন, “ইউনেসকোর খসড়া প্রতিবেদনে ‘ইনক্লুডিং রামপাল’ শব্দ ছিল। (শুনানিতে) যুক্তিতর্কের পরে ওই শব্দটা তুলে নিয়েছে।  তারা বলেছিল, পরিবেশ সমীক্ষা না করে বড় প্রকল্প না করতে। আমরা সেখানে রামপাল ছাড়া আরও কয়েকটি প্রকল্প স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছি। তারা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। খসড়া প্রতিবেদনে রামপাল বন্ধ থাকার কথা ছিল। এখন তারা বলছে, না এটা চলবে। এতে যদি কোনো প্রতিকার নেওয়ার প্রয়োজন হয়, সেটা নিতে হবে।

ডব্লিউএন

 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি