সীমান্ত সংঘাত ও শরণার্থী সংকট: আফগান-পাকিস্তান সম্পর্কে টানাপোড়েন
প্রকাশিত : ০৯:৩৯, ২৬ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ২৩:১৮, ২৭ মার্চ ২০২৪
আফগানিস্তানের সাড়ে ৮ লাখ শরণার্থীকে আগামী মাসে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। এসব শরণার্থীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও দ্বিতীয় দফায় বিশাল পরিমাণ এই জনসংখ্যাকে দেশ ছাড়তে বলেছে পাকিস্তান সরকার। আফগান ডায়াস্পরা লিখেছে, আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে আফগান নাগরিক কার্ডধারীদের (এসিসি) জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন কর্মসূচি শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে ওই কার্ডধারীদের স্বেচ্ছায় নিজ দেশে চলে যেতে উৎসাহিত করা হবে। কিন্তু আফগানিস্তানে যেতে যারা অনাগ্রহ দেখাবে, তারা গ্রেপ্তারও হতে পারেন।
পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া ৩০ লাখ আফগান নাগরিকদের মধ্যে এই সাড়ে ৮ লাখকে দ্বিতীয় দফায় ফেরত পাঠাচ্ছে পাকিস্তান সরকার। এই উদ্যোগ আইনজীবী ও মানবাধিকার বিষয়ক আইনি ব্যক্তিদের নজরেও এসেছে। তারা জোরপূর্বক প্রত্যাবাসনের শিকার বিপুল পরিমাণ এই জনসংখ্যার অনিশ্চিত পরিস্থিতির ওপর জোর দিচ্ছেন। তারা বলছেন, এতদিন পাকিস্তান সরকারের ইস্যু করা এসিসি কার্ড ও বৈধ ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য করা হয়নি।
এই ঘটনা আগের প্রত্যাবাসনের পরিস্থিতিই ফেরাচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিও আলোচনায় আসছে। আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এবং বৈধ নথিপত্রধারী ব্যক্তিদের আগের মত অন্যায়ভাবে প্রত্যাবাসনের কথাও উঠে আসছে। এমন অবস্থায় মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবীরা উদ্বাস্তুদের মৌলিক অধিকার এবং সুরক্ষার জন্য জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে এই প্রত্যাবাসনের পেছনে তালেবান ও পাকিস্তান সরকারের মধ্যে সাম্প্রতিক টানাপোড়েন সম্পর্ক ও সম্পর্কের অবনতিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আফগান শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলায় পাকিস্তানের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। আফগান শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মত সংস্থাগুলো প্রশ্ন তুলছে। পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনায় তালেবানের হামলাসহ সাম্প্রতিক উত্তেজনার বিষয়গুলো আফগান শরণার্থী প্রত্যাবাসনকে প্রভাবিত করছে। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হচ্ছে।
এএইচ
আরও পড়ুন










