ঢাকা, রবিবার   ১১ মে ২০২৫

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র

১ লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লার ঘাটতি পেয়েছে দুদক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৫, ২৪ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১০:৩৩, ২৪ জুলাই ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

থাকার কথা ১ লাখ ৪৬ হাজার টন কয়লা। তবে সেখানে পাওয়া গেছে মাত্র ২ হাজার টন। বাকি ১ লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা গায়েব হয়ে গেছে। এত বড় বিশাল চুরির হিসাব বের করতেই মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইয়ার্ডে এক লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লার ঘাটতি পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত সোমবার খনি পরির্দশনে এসে কয়লার ঘাটতি পায় দিনাজপুর দুদকের প্রাথমিক তদন্ত দল। দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কাজ করছে এই প্রাথমিক তদন্ত দল।

দিনাজপুর দুদক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বেনজীর আহমেদ জানান, ‘কয়লার মজুদসংক্রান্ত কাগজপত্র অনুযায়ী ইয়ার্ডে এক লাখ ৪৬ হাজার টন কয়লা মজুদ থাকার কথা। কিন্তু সেখানে প্রায় দুই হাজার টন মজুত রয়েছে। এক লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা ঘাটতি রয়েছে।’

এদিকে সোমবার দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, বড়পুকুরিয়ায় কয়লা গায়েবের ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুদক। প্রণব কুমার ভট্টাচার্য আরও জানান, দুদকের উপপরিচালক শামসুল আলমের নেতৃত্বে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক এএসএম সাজ্জাদ হোসেন ও উপ-সহকারী পরিচালক এএসএম তাজুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে বিপুল পরিমাণ কয়লা গায়েব হওয়ার পর জ্বালানি সংকটের কারণে ২২ জুলাই, রবিবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে ৫২৫ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

এতে উত্তরাঞ্চলের চার জেলা রংপুর, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারীতে এক মাস বিদ্যুৎ বিভ্রাট থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি