ঢাকা, বুধবার   ১৬ জুলাই ২০২৫

বিপদসীমা ওপরে তিস্তার পানি; খুলে দেওয়া হয়েছে সব জলকপাট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১৭, ২৮ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৪:১৯, ২৮ জুন ২০২০

পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে- সংগৃহীত

পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে- সংগৃহীত

Ekushey Television Ltd.

ভারী বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া অব্যাহত রয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে নদী সংলগ্ন চর এবং গ্রামসমূহ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওইদিনই তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সর্তকীকরণ কেন্দ্র  জানায়, তিস্তার পানি গত দুই দিন ধরে বিপদসীমার  ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর ফলে ডিমলা উপজেলার  পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছা চাপানি, গয়াবাড়ী ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, শৌলমারি ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি চর বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন এসব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।’

এদিকে তিস্তার বন্যায় জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ী ও জলঢাকার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় ১০টি চর ও চর গ্রামের ৮ হাজার পরিবার বন্যাকবলিত বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দাবি করেছেন।

এমএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি