তিতাসের পানি বিপদসীমার উপরে, নিন্মাঞ্চল প্লাবিত
প্রকাশিত : ২০:১৮, ২১ জুলাই ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদী,মৌলভীবাজারের মনু ও হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং টানা বৃষ্টির পাশাপাশি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর পানি চারটি পয়েন্টে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে অব্যাহতভাবে পানি বাড়ার কারণে জেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম বন্যার প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। তবে এখনো বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেনি বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রঞ্জন কুমার দাস জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর চারটি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে তিতাস নদীর নবীনগর পয়েন্টে বিপদ সীমার ৪৮ সেন্টিমিটার, সরাইলের আজবপুর পয়েন্টে বিপদ সীমার ১৬ সেন্টিমিটার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কুরুলিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ১১ সেন্টিমিটার এবং গোকর্ণঘাট পয়েন্টে বিপদ সীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নজরদারি করা হচ্ছে।তিনি বলেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সরাইল ও নাসিরনগর এলাকার নি¤œাঞ্চল ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। তবে এখনো বাড়ীঘরে পানি প্রবেশ করেনি।
এব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিতাস নদীর চারটি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। মেঘনা নদীর পানি এখনো বিপদ সীমার ৫২ সেন্টিমিটার নিচে আছে। তিনি বলেন, তিতাস নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সরাইল ও নাসিরনগরের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে তবে এখনও পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেনি। তিনি বলেন, বন্যার আগাম প্রস্ততি হিসেবে নগদ টাকা এবং চাল সহ পর্যাপ্ত ত্রান সামগ্রী মজুদ আছে। জেলা প্রশাসনের টিম প্রস্তুত রয়েছে। বন্যার খবর পেলে জেলা প্রশাসনের টিম সেখানে পৌছে তাৎক্ষনিক ত্রান তৎপরতা শুরু করবে। সব মিলিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।
কেআই/
আরও পড়ুন