ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ আগস্ট ২০২৫

দুই সন্তানকে হত্যা করে পালিয়েছে বাবা, দাবি পরিবারের

একুশে টেলিভিশন ডেস্ক

প্রকাশিত : ১৪:২৭, ২৫ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৪:৩৬, ২৫ নভেম্বর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

দিনাজপুরের বিরলের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত কক্ষ থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা সম্পর্কে দুই ভাই। ধারণা করা হচ্ছে শিশু দুটিকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, নিহত শিশুদের বাবা খাবারের সঙ্গে বিষ খাইয়ে তাদের হত্যা করছে।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বিরলের বিজোড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিশুদুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত বড় ভাই ইমন হাসান (৭) ও ছোট ভাই ইমরান হাসান (৩) দিনাজপুর জেলার বিরল পৌরসভা এলাকার শংকরপুর ঘোড়া পীর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে।

শিশু দুটির দাদা রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমার ছেলে শরিফুল ইসলাম তার দুই সন্তান অর্থাৎ আমার দুই নাতিকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বিরলের বাজারে শীতের কাপড় কিনে দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। গভীর রাত পর্যন্ত তারা বাড়িতে না ফিরলে আমরা আত্মীয়-স্বজন ও নিকটস্থ জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু কোথাও তাদের সন্ধান পাই নাই। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বিরলের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক স্কুলের পাশ থেকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেলে ঘটনাস্থলে এসে শনাক্ত করি যে, তারা আমার কলিজার টুকরা দুই নাতি। আগে থেকেই আমার ছেলে তার সন্তানদের মেরে নিজেও বিষ খাবে বলে হুমকি দিয়েছে। অনেক দিন ধরেই সে পরিবারকে এমন হুমকি দিয়ে আসছিল।”

দিনাজপুর পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর বলেন, “গত এক মাস আগেই শরিফুল ও তার স্ত্রী উম্মে কুলসুমের মধ্যে তালাক হয়। এই তালাকের জের ধরেই শিশু দুটির বাবা শরিফুল ইসলাম নিজ হাতে সন্তানদের বিষ খাইয়ে হত্যা করেছেন। ঘাতক পিতা পলাতক রয়েছেন। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”

দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসলামউদ্দিন বলেন, “পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশু দুটির বাবা শরিফুল ইসলাম নিজেই তার বাড়ি থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে খাবারের সঙ্গে বিষ খাইয়ে তাদের হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”

পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে। ঘাতক পিতাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি