ঢাকা, বুধবার   ২৯ অক্টোবর ২০২৫

নওগাঁয় অপহরণের শিকার ব্যবসায়ীকে সাভার থেকে উদ্ধার

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২১:১০, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

নওগাঁয় অপহরণের শিকার আলমগীর হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে রাজধানী ঢাকার সাভার থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। তাকে আটকে রেখে ৭০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৫ রাজশাহী ক্যাম্পের সদস্যরা সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে সাভারের নতুন বাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে। একই সাথে এই ঘটনায় জড়িত মূলহোতা শাহাজান (৬৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় র‌্যাব-৫। 

গ্রেফতার শাহাজান ভোলা জেলার লালমোহন থানার চর-কচুপিয়া এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে এবং অপহরণে শিকার ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন নওগাঁ পৌরসভার বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে।

এই ঘটনায় নওগাঁ সদর মডেল থানায় মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তার শাহাজানকে সোর্পদ করা হলে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অপহরণের শিকার আলমগীর হোসেন একজন ধান চাল ব্যবসায়ী। তিনি ঢাকায় তার আত্মীয়র বাড়িতে পারিবারিক কাজে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। এরপর থেকে তার সাথে পরিবারের সদস্যদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা কৌশলে ভিকটিমকে আটকে রেখে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর দিয়ে জানায় ভিকটিম ভালো আছে এবং তিনি সাভারের হেমায়েতপুরে তাদের হেফাজতে আছে। এরপর থেকে ওই নম্বরে যোগযোগ করলে ফোন বন্ধ দেখায়। পরবর্তীতে ১৯ অক্টোবর রাতে ভিকটিমের ব্যবহৃত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করে আটকে রাখার বিষয়টি জানানো হয় এবং মুক্তিপণ হিসেবে ৭০ লাখ টাকা দাবী করা। মুক্তিপণ না  দিলে তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়।

এ ঘটনায় ২০ অক্টোবর নওগাঁ সদর মডেল থানায় ভিকটিমের ছেলে অপহরণের একটি মামলা দায়ের করে।  আসামীদেরকে গ্রেফতার ও নিখোঁজ ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য র‌্যাব ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাবের সদস্যরা সোমবার রাতে সাভারে নতুন বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী মূলহোতা শাহাজানকে গ্রেফতার ও অপহৃত ভিকটিম আলমগীরকে উদ্ধার করে। 

এমআর// 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি