ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ মে ২০২৪

অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু (ভিডিও)

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:৩৫, ১৮ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১৬:৩৬, ১৮ জুলাই ২০২০

ল্যাপটপ দিয়ে অনলাইনে ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এক গরু বিক্রেতা।

ল্যাপটপ দিয়ে অনলাইনে ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এক গরু বিক্রেতা।

করোনাভাইরাসের কারণে রাজশাহীতে পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা সংকট দেখা দেয়ায় অনলাইনের মাধ্যমে কোরবানির পশু বেচাকেনা শুরু করেছেন খামার মালিকরা। এমন পরিস্থিতিতে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে গরু বেচাকেনা করতে পারলে লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পাবে খামার মালিকরা এমনটাই বলছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর সিটি হাট। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার অনেকটা আগেভাগেই কোরবানির পশু বিক্রির উদ্দেশ্যে হাটে তুলছেন খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরা। কিন্তু করোনাকালে অর্থনৈতিক সংকটে পড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি না মানায় হাটে এসে দেশী গরু কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ক্রেতারা। ফলে গরু প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

এমন পরিস্থিতিতে ন্যায্য দামে কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারবেন কিনা- এ নিয়ে চিন্তিত খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরা। ফলে ব্যক্তি উদ্যোগে অনলাইনের মাধ্যমে পশু বেচাকেনার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন খামারিরা।

কয়েকজন খামারি বলছেন, তারা হাটে কোরবানির পশু তোলার চেয়ে এখন অনলাইনের মাধ্যমেই কোরবানির পশুর কেনাবেচায় আগ্রাহী। আরাফাত রুবেল নামের একজন খামারি জানান, ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে তার দুইটা গরু অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করেছেন। ঢাকার এক কাস্টমারের সাথেও কথা হচ্ছে তার। অনলাইনে দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

ইয়াকুব আলী নামের আরেকজন খামারি বলেন, হাটে গেলে করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা বেশি থাকে। বেশিরভাগ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মানেন না। অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করলে হাটে নিয়ে যাওয়ার ঝক্কি পোহাতে হয়না।

অনলাইনের মাধ্যমে কোরবানির পশু বেচাকেনা হলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে যেমন রক্ষা পাওয়া যাবে, তেমনি খামার মালিকরা নায্যমূল্য পাবে এমনটাই বলছেন রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন আল ফারুক। 

তিনি জানান, খামারিরা অনেকেই ইতিমধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে কোরবানির পশু বিক্রি করতে শুরু করেছেন। তবে এর বাইরে যারা হাটে গরু তুলবেন তাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে গরু তুলতে হবে।

তিনি আরও জানান, করোনা থেকে রক্ষা পেতে হাটগুলোকে অনলাইনের আওতায় আনা গেলে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের আর কষ্ট করে হাটে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মানাও সহজ হবে তখন।

এদিকে, জেলায় ২ লাখ ৭০ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা থাকলেও উৎপাদন হয়েছে অতিরিক্ত এক লাখ। যা এই অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি হচ্ছে।

ভিডিওতে দেখুন-

এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি