ঢাকা, বুধবার   ২৫ জুন ২০২৫

নোয়াখালীতে চিরকুটসহ ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৭:৫৪, ২২ অক্টোবর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নে ওমর ফারুক সোহেল (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের লাশের পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাসেল (২০) ও প্রাইম (২) নামের দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার বিকেলে সরকামতা গ্রামের সোহেল স্টোর থেকে নিহতের মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ওমর ফারুক সোহেল ওই গ্রামের বজলুল হকের ছেলে। সে সোহেল স্টোরের মালিক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার সোহেলের দোকান খুলে বসেন তার দোকানের কর্মচারী প্রাইম। বেলা ১১টার দিকে দোকানে আসেন সোহেল। এরপর দোকান থেকে বের হয়ে বাইরে যায় প্রাইম ও রাসেল। এর কিছুক্ষণ পর দোকানে এসে কাউকে দেখতে না পেয়ে ভেতরের কক্ষে গেলে সোহেলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান একজন গ্রাহক। পরে তিনি চিৎকার করলে আশপাশের ব্যবসায়ীরা ছুটে এসে ঘটনাটি দেখে থানায় অবগত করেন।

নিহত সোহেলের টেবিলের ওপর তার হাতের লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়, যাতে লেখা ছিলো, ‘আমি যদি সবার মনে কষ্ট দিয়ে থাকি, ছোট-বড় সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিও, আমি এখানে দোকানদারি করছি ২০ বছরের মতো, ছোট বড় সকলে যেন আমাকে মাফ করে দেয়, প্রাইম ও রাসেল (দোকানের কর্মচারী) আমাকে ক্ষমা করে দিও। 

রায়হান নামের একজনকে উদ্দেশ্যে করে লিখেছেন ‘রায়হান তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও, আর আমার মেয়েদের দিকে খেয়াল রেখো।’ নিজের জীবনের এমন অনেকগুলো আক্ষেপের কথা রবির ইজিলোডের একটি খাতায় এভাবে চিরকুট লিখে গেছেন তিনি।  

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, চিরকুটসহ নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তার দোকানের দুই কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেআই//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি