ঢাকা, শুক্রবার   ১৬ মে ২০২৫

এবার মিন্নির বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি রিফাতের বাবার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০৯, ২৬ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ১৬:০৭, ২৬ জুলাই ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী গ্রেফতার আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন রিফাতের বাবা। 

শুক্রবার বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বলেন, পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ায় আমি সন্তুষ্ট এবং মিন্নির বাবা ও মাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানাচ্ছি। 

দুলাল শরীফ আরও বলেন, রিফাত হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সাথে তার মা, বাবাও জড়িত তাই তাদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। 

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন রিফাতের চাচা আজিজ শরীফ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। 

এরআগে গত ১৩ জুলাই আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছিলেন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। 

রিফাত শরীফের বাবা লিখিত বক্তব্যে মিন্নিকে গ্রেফতারের ১০টি কারণ উল্লেখ করে জানান,আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি তার ছেলে রিফাত হত্যার সাথে জড়িত। নয়নের সাথে বিয়ের ঘটনা সে ও তার পরিবার সুকৌশলে গোপন করে গেছে। এমন কি বিবাহ বলবৎ থাকা অবস্থায় শরিয়া বহির্ভূতভাবে মিন্নি রিফাতকে বিয়ে করেছে। রিফাতের সঙ্গে বিয়ের পরেও মিন্নি নয়নের বাসায় আসা-যাওয়া ও যোগাযোগ রক্ষা করতো। রিফাত হত্যার আগের দিন অর্থাৎ ২৫ জুন মিন্নি নয়নের বাসায় গিয়েছিল, মিন্নি প্রতিদিন একা একা কলেজে গেলেও ঘটনার দিন  রিফাতকে ডেকে কলেজে নিয়ে গেছে। রিফাত তার স্ত্রী মিন্নিকে নিয়ে মটরসাইকেলে চলে আসতে চাইলেও মিন্নি কৌশল করে কালক্ষেপন করেছে। রিফাতকে যখন রিশান ফরাজী দলবল নিয়ে জাপটে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে ছিলো মিন্নি, রিফাতকে কোপানোর সময় মিন্নি আসামীদের জাপটে ধরলেও আসামীরা কোপায়নি। আহত রিফাতকে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা না করে মিন্নি তার জুতা ও ব্যাগ ওঠাতে ব্যস্ত ছিলো,আহত রিফাতকে বরিশাল নেওয়া হলেও মিন্নি তার সঙ্গে যায়নি।

এসময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রিফাতের বাবা। তিনি আরও বলেন, পুলিশ কেন এখন পর্যন্ত মিন্নিকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না?  হয়তো পুলিশ মিন্নিকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ডের সত্যতা তথা প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে। তাই গ্রেফতার করা হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বেলা তিনটার দিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়। পরের দিন ওই ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নামে এবং চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জন আসামি গ্রেফতার হয়েছে এবং মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। 
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি