ঢাকা, শুক্রবার   ০৪ জুলাই ২০২৫

সকল পর্যায়ে শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে: ড. মো. সেলিম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪২, ১৮ এপ্রিল ২০২১ | আপডেট: ১৬:৪৪, ১৮ এপ্রিল ২০২১

Ekushey Television Ltd.

এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইকো নেটওয়ার্ক ক্লাবের সহযোগিতায় ও সামরাস ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের কারিগরি সহায়তায় ১৭ এপ্রিল এসডিজি-৮ ‘শোভন কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম উদ্দিন,এফসিএ,এফসিএমএ । 

ড. সেলিম বলেন, করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের ফলে শোভন কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কিছুটা ভাটা পড়লেও সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের ফলে তা লাঘবে ভূমিকা রাখছে। চলমান করোনা পরিস্থিতিতেও বৈদেশিক রেমিট্যান্সের যে রেকর্ড হয়েছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ঠ বাংলাদেশ সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকীর সাথে সমন্বয় সাধন করা হয়েছে এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন হলে আগামী ২০২৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে, ২০৩০ সাল নাগাদ উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে ২৫তম বৃহ্ৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হবে। 

তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জীবনমানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে কিন্তু করোনা পরবর্তী অর্থনীতির চাকা পুনরায় সচল হলে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে দারিদ্রসীমা ২-৩ শতাংশে চলে আসবে এবং মাথাপিছু আয়েও উন্নতি হবে।
 
এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের ঢাকা টিমের কো-অর্ডিনেটর ফারহানা বারীর সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাবের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার। 

নোমান উল্লাহ বাহার বলেন, বর্তমান সময়ে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে যা উদ্বেগজনক। কোনো পেশাকে অবমূল্যায়ন না করে বরং নিজ নিজ সামর্থ্য ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করলে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ঠ অর্জন করতে হলে সকলের জন্য শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। 

এছাড়া এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম ফেইজবুক পেইজ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত ওয়েবিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন জোনটা ইন্টারন্যাশনালের ট্যুরিজাম এন্ড হসপিটালিটি কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল ড. রুবিনা হোসেন ।

ড. রুবিনা হোসেন বলেন, মানুষ হিসেবে প্রত্যেক পেশাকে সম্মান করা উচিত এবং যার যার সামর্থ্য ও সক্ষমতা অনুযায়ী যেকোনো পেশাই স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। পাশাপাশি যথাযথ সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সকল পেশার মানুষের মাঝে বিরাজমান বৈষম্য দূরীভূত হবে যা জীবনমান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কেআই// 


 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি