ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪

জমে উঠছে সারাদেশের ঈদ বাজার, বিক্রি কম বাবুরহাটে (ভিডিও)

প্রতিনিধিদের খবর

প্রকাশিত : ১২:৩৮, ৮ এপ্রিল ২০২৩

বিভিন্ন স্থানে জমে উঠছে ঈদ বাজার। জামা-কাপড়ের দোকানে বাড়ছে ক্রেতার ভিড়। ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিপাড়াতেও। তবে কাপড় উৎপাদনে খরচ বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়ছে বাজারে।

ঈদের পোশাক কিনতে বাড়ছে ক্রেতার ভিড়। সরগরম হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মার্কেট, বিপনী বিতান। বিক্রেতারা বলছেন, দাম একটু বেশি হলেও ক্রেতারা পোশাক কিনছেন।

এক ক্রেতারা জানান, অনেক দোকান ঘুরেছি, দামটা বেশি।

রাত-দিন টানা কাজ চলছে দর্জির দোকানগুলোতেও। কাপড়ের দাম বাড়ায় অর্ডার কিছুটা কমেছে।

দর্জি দোকানদার বলেন, “আগে রোজা ১০টা হলে অর্ডার বন্ধ করে দিতে হতো, অনেক কাজ থাকতো। এখন দেখছি ২৫ রোজা পর্যন্ত অর্ডার নিতে হবে।”

দিনাজপুরের হিলিতেও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পোশাক তৈরির কারিগররা। তবে গতবারের তুলনায় কাজ কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন কেউ কেউ। 

টেইলার্স মালিক বলেন, “গতবার ১০-১২তে অর্ডার বন্ধ করে দিয়েছিলাম, এবার হয়তো আরও ৫-৬ দিন নিতে হবে।”

জমেনি দেশীয় কাপড়ের সবচে বড় পাইকারী বাজার নরসিংদীর বাবুরহাটের বেচা-কেনা। শাড়ি-লুঙ্গি, থ্রি-পিস, শার্ট-প্যান্ট, পাঞ্জাবীর কাপড়, থান কাপড়সহ সব দোকানে এবার ক্রেতা কম। 

পাইকারী বিক্রেতারা জানান, গতবছরের তুলনায় এবার দাম বেশি। অন্যান্য জিনিসের দাম বেশি হওয়ার কারণে আমাদের কাপড়ের ব্যবসাটা খারাপ যাচ্ছে। বেচাকেনা হওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নাই।

ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, নিম্নমুখী বেচা-কেনায় হাজার কোটি টাকার বাজার নেমেছে দুই থেকে আড়াইশ’ কোটিতে।

বাবুরহাট বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ভুইয়া বলেন, “আগে যারা ১ হাজার পিস নিতো তারা হয়তো ৫-৬শ’ পিস নিচ্ছে। যারা ১ লাখ গজ নিতো তারা এখন ৫০-৬০ হাজার গজ নিচ্ছে।”

এফবিসিসিআই পরিচালক আলী হোসেন শিশির বলেন, “সুতার দাম বাড়তি, রডের দাম বাড়তি- সবই বাড়তি। সুতরাং প্রোডাকশনের খরচ বাড়তে তো পণ্যের দামও বাড়বে।”

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাপড়সহ প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বাড়ায় এবার বেচাকেনা কম।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি