ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৪ মে ২০২৪

কুয়েট ভর্তি পরীক্ষার্থীদের বিনামূল্যে থাকতে দিচ্ছে টাইগার গার্ডেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১৭, ২৭ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১৫:৩৩, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় মেধার যেমন লড়াই হয় তেমনি যুদ্ধ হয় থাকা-খাওয়া এবং যাতায়াত নিয়ে। পরীক্ষার্থীসহ এই যুদ্ধে অংশ নেন তাদের অভিভাবকেরাও। তবে খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি শিক্ষাবছরে যারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন তাদের জন্য আছে এক স্বস্তির খবর। খুলনার বাইরে থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা করেছে টাইগার গার্ডে ইন্টারন্যাশনাল হোটেল।

আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের আয়োজন করেছিলো প্রতিষ্ঠানটি। সেনা কল্যাণ সংস্থার মালিকানাধীন এই তিন তারকা মানের হোটেলে গতকাল রাতে অবস্থান করেছিলেন প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানা যায়, প্রায় ১৯০ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের থাকার ব্যবস্থা ছিলো প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। নারী ও পুরুষদের জন্য ছিলো আলাদা আলাদা ব্যবস্থা। এদের মধ্যে নারীদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয় হোটেলটির শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত কনভেনশন হলে।

শুধু তাই নয়, পরীক্ষার্থীদের আগেভাগে এ বিষয়ে জানাতে সামাজিক মাধ্যমে রীতিমতো ক্যাম্পেইন করে প্রচারণা চালায় টাইগার গার্ডেন ইন্টারন্যাশনাল হোটেল।

প্রতিষ্ঠানটির এমন উদ্যোগ বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতেও এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঢাকা থেকে কুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে যান শিক্ষার্থী সুমাইয়া জাহান। সাথে ছিলেন মা আমেনা বেগম। সুমাইয়া বলেন, “আমার বাবা দেশের বাইরে থাকেন। তাই ভর্তি পরীক্ষা দিতে এতদূর আসতে কিছুটা ভয়েই ছিলাম। রাতে কোথায় থাকবো তা নিয়ে অনিশ্চিত ছিলাম। কিন্তু ফেসবুক ভিত্তিক `উই আর বাংলাদেশ" (ওয়াব) গ্রুপের একটি পোস্ট থেকে জানতে পারলাম যে, এই হোটেলটি আমাদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সত্যিই ভালো লাগলো। আমাদের সবার অনেক উপকার হয়েছে এতে”।

হোটেলটির প্রকল্প প্রধান মেজর (অবঃ) শহীদুজ্জামান শাহীন জানান, গত বছরেও ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য এমন আয়োজন ছিলো। তবে গত বছরের তুলনায় এবারের আয়োজন ছিলো আরও বড় পরিসরে। এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সম্পর্কে ইটিভি অনলাইনকে এই কর্মকর্তা জানান, “আম্রয়া তো সবসময় ব্যবসাই করি। কিন্তু মানুষ তো মানুষের জন্য। আর আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতাও তো আছে। প্রতি বছর খুলনাতে যত পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে আসেন তাদের সবার ধারণ ক্ষমতা খুলনার হোটেলগুলোতে নেই। আবার এসব মেধাবী শিক্ষার্থীরা জীবনে অনেক কষ্ট করেন। তাদের সময় যখন আমরা ছিলাম সেটা আমরাও করেছি। তাই তাদের সংগ্রামটা বুঝি। বলতে পারেন এসবকিছু মিলিয়ে আমরা এই উদ্যোগটা নিয়েছি। এসব শিক্ষার্থীদের উন্নত ক্যারিয়ারে আমাদের যদি সামান্য অবদান থাকে আমরা তাতেই খুশি”।

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি