ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪

প্রকাশ পেয়েছে কালিকাপ্রসাদের ‘জবানবন্দি’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৩০, ২০ মে ২০১৮

সঙ্গীত পরিচালক কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য। তাকে বলা হয়- শিলচরের ভূমিপূত্র। তবে পড়াশোনা এবং গানের সূত্রে বাস করতেন কলকাতায়। তবুও আজীবন বুকে লালন করেছেন মাটির ঘ্রাণ। এবার প্রকাশ্যে আসলো কালিকাপ্রসাদের ‘জবানবন্দি’।

১৯৬১ সালের ১৯ মে মাসে অসমের শিলচর শহরে মাতৃভাষা সুরক্ষার লড়াই – এ মৃত্যুবরণ করেন ১১ জন বাংলা ভাষাভাষী মানুষ। স্বাধীন ভারতে এই ছিল প্রথম ভাষার লড়াই, ভাষার জন্য শহীদের আত্মবলিদান। তারপরেও ‘৭২ এ একজন, ’৮৬তে দুজন এবং ’৯৬তে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষার দাবিতে আরও এক তরুণী শহিদ হন। যার জন্য অনেকে ওই ভূমিকে ভাষা শহীদের ভূমি বলেন। আজও মাতৃভাষার জন্য ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়ে যেতে হচ্ছে ওই ভূমির বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের। ওই বাংলারই ভূমিপুত্র কালিকাপ্রসাদের জবানবন্দি খুব প্রাসঙ্গিক।

‘বাংলা আমার ফতেমা বিবি, বাংলা আমার রাধা…’— কালিকাপ্রসাদ লিখেছিলেন এই ‘জবানবন্দি’। তার স্ত্রী ঋতচেতা বলেন, ‘ভাষা শহীদ দিবসের কথা মনে রেখেই এই কবিতাটি কালিকা লিখেছিলেন। সঙ্গে পুরনো অ্যালবাম থেকে নেওয়া হয়েছে একটি গান। এই দুটি নিয়ে একটি ভিডিও গত ১৭ মে ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়েছে।’

দোহারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাজীব বললেন, ‘দোহারের জন্মলগ্ন থেকেই সারা বিশ্বে আমরা আমাদের ভাষা-শহীদের এই পূণ্য ভূমির কথা সারা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কারণ দোহারের দুই জন্মদাতার জন্মভূমিই ছিল বরাক উপত্যকা। কিন্তু আমার মুখের ভাষা বাংলা। তার জন্যেই দলের জন্ম কলকাতাতে হলেও শেকড় কিন্তু বাঁধা ছিল সেই বরাকের মাটিতে। আমরা যাকে বলি বাংলা ভাষার তৃতীয় ভুবন। কারণ, বরাক ভূমি কোনও বঙ্গেরই অন্তর্ভুক্ত নয়। কালিকাদার সেই প্রয়াসকেই আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

সূত্র : আনন্দবাজার

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি