ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৪

গত নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন কতটুকু?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১০:৩৮, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- ডেডলাইন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- ডেডলাইন

২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসাবে নানা প্রতিশ্রুতি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসব প্রতিশ্রুতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী আলোচনা-পর্যালোচনা হয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার চার বছরে, এসব প্রতিশ্রুতির কতটুকু পূরণ করতে পেরেছেন ট্রাম্প? 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২০-কে ঘিরে প্রচারণায় সরব ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান নেতারা। ভোটারদের দেয়া হচ্ছে নানা প্রতিশ্রুতি। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এসব প্রতিশ্রুতির কয়েকটি নিয়ে নির্বাচনের আগে ও পরে আলোচনা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা, মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণসহ বেশ কয়েকটি বিষয়। ২০১৬ সালের ওই নির্বাচনের পর হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের চার  বছর কেটে গেছে। তো এসব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে কতটা সফল হয়েছেন তিনি?

কর্পোরেট কর এবং কর্মজীবী নাগরিকদের বড় ধরণের কর হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কর্মজীবী নাগরিকদের কর কমানো হলেও ডেমোক্রেট প্রভাবিত রাজ্যগুলোতে উচ্চ আয়ের লোকজনের কর বেড়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত প্রতিশ্রুতির একটি মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ। বাজেট বরাদ্দ নিয়ে নানা আইনি জটিলতার পর এ পর্যন্ত ১ শত ৯৪ মাইল দীর্ঘ প্রাচীর তোলা হয়েছে। 

ট্রাম্প শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে সব মুসলিমের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন এ বিষয়ে কর্র্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি দুটো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন, যা পরে আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। কিন্তু তৃতীয় আরেকটি নিষেধাজ্ঞার তেমন অসুবিধা হয়নি।

ট্রাম্প বলেছিলেন, বারাক ওবামা জনগণকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনতে যে আইনটি করেন তা বাতিল করবেন। আইনটির বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি চলছে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে। 

নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ুর পরিবর্তনকে ভুয়া বলে প্রচারণা চালিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, প্যারিস চুক্তিতে যেসব শর্তের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো আমেরিকার অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। তাই এই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র থাকবে না। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি প্যারিস চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

র্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। সেই অনুযায়ী ২০১৭ সালে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। ২০১৮ সালের মে মাসে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকীতে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস খোলা হয়।

অভিবাসন সংক্রান্ত আইন সংস্কারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনাটি সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যায়। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া শিশু বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে আসা সাড়ে ৬ লাখ অভিবাসীকে রক্ষার আইনটিও বাতিলের উদ্যোগ নেন তিনি। পরে সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনের এ উদ্যোগ খারিজ করে। 

এমএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি