ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১০ জুলাই ২০২৫

বছরের পর বছর যৌন শোষণের বদলা ২৫ কোপ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪৪, ১৭ অক্টোবর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

একবার, দুইবার, পাঁচবার নয়- টানা ২৫ বার ছুরি দিয়ে কোপ। ভারতীয় কংগ্রেস থেকে বহিস্কৃত নেতা ব্রজভূষণ শর্মার ওপর এতটাই রাগ ছিল ওই নারীর। এমনই ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের গুনায়। 

সম্প্রতি কংগ্রেস থেকে বহিস্কৃত ওই নেতা রাত এগারোটা নাগাদ এক নারীর বাড়িতে যান। তারপরে কথা কাটাকাটির পর সেই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। অতঃপর কংগ্রেস নেতার উপর ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই নারী। লাগাতার পঁচিশটি ছুরির কোপ মারেন তাঁর শরীরে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সেই কংগ্রেস নেতার। খুনের পর ওই নারী নিজেই পুলিশকে ফোন করে খবর দেন।

মৃত কংগ্রেস নেতার স্ত্রী অবশ্য ওই নারীকেই আসল দোষী বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবী, ব্রজভূষণকে নিজের প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছিলেন ওই নারী। তাঁর থেকে নিয়মিত টাকা-পয়সা, গয়না-গাটি নিতেন ওই নারী। কোনও কারণে ঝগড়া হওয়ায় তিনি তাঁর স্বামীকে কুপিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ করেছেন ব্রজভূষণের স্ত্রী। 

জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী একজন শিক্ষক। তিনি বাড়িতে ছিলেন না। আর সেই সুযোগে কংগ্রেস নেতা তার বাড়িতে যান। পুলিশ জানতে পেরেছে- কয়েক বছর ধরেই ওই নারীর সঙ্গে কংগ্রেস নেতার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ঠিক কী কারণে নারীটি তাকে খুন করেছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। 

নারীটি অবশ্য দাবি করেছেন, সেই রাতে কংগ্রেস নেতা তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন। আর নিজের ইজ্জত বাঁচাতে তিনি তাঁকে আক্রমণ করেন।

তার আরও দাবি- এর আগেও ওই কংগ্রেস নেতা তাঁর আপত্তিজনক ভিডিও তুলেছেন। সেই ভিডিও দেখিয়ে দিনের পর দিন তাঁকে ব্লাকমেইল করতেন ব্রজভূষণ শর্মা। আর তাই দীর্ঘদিন ধরেই অস্বস্তিতে ছিলেন ওই নারী। তিনি বছরের পর বছর ধরে কংগ্রেস নেতার যৌন শোষনের শিকার বলে অভিযোগ। শেষমেশ ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তাঁকে কুপিয়ে খুন করেন ওই নারী। 

মধ্যপ্রদেশের অশোকনগরের এই ঘটনার নৃশংসতা দেখে পুলিশও রীতিমত অবাক। কতটা ঘৃণা ও হিংসা ভেতরে জমে থাকলে একজন নারী পঁচিশবার কুপিয়ে কাউকে খুন করতে পারেন! আপাতত আদালতের নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন সেই নারী। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সূত্র- জিনিউজ।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি