ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্র ফুরিয়ে আসছে, দুশ্চিন্তায় ইউক্রেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৪, ১৩ জুন ২০২২

রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারে এমন আভাস দিয়েছে গোয়েন্দারা। ১৯৬০-এর দশকের কেএইচ-২২ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হতে পারে সাধারণ বসতি লক্ষ্য করে। যা কি না যুদ্ধবিমান ধ্বংস করতে সক্ষম, তা জমিতে এসে পড়লে কী হতে পারে, তার প্রমাদ গুণছে ইউক্রেন।

এ দিকে, তাদের কাছে থাকা যুদ্ধাস্ত্রও প্রায় শেষ। পশ্চিমের কাছে তারা আবেদন জানিয়েছে, দ্রুত পাঠানো হোক হাতিয়ার। খবর আনন্দবাজারের

ইউক্রেন স্বীকার না করলেও মস্কোর দাবি, ইউরোপ-আমেরিকার পাঠানো অস্ত্র যে সব জায়গা মজুত করা ছিল, সব ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিম ইউক্রেনের শহর চোর্টকিভে রকেট হানা চালায় মস্কো। তাতে একটি ইউক্রেনীয় সেনা ঘাঁটি আংশিক ধ্বংস হওয়ার খবর রয়েছে। ২২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। 

কিন্তু রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ‘ট্যাঙ্ক-ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রের বিশাল মজুত ছিল। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ছিল। আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলির পাঠানো গোলা মজুত ছিল। সব ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’

এক দিকে ডনেৎস্ক অঞ্চলে রুশ সেনাকে অনেকটাই পিছু হটিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। কিন্তু অন্য দিক দিয়ে ক্রমশই জমি দখল চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। রুশ স্থলবাহিনীর দাপটে রীতিমতো চাপে কিয়েভ। এই মুহূর্তে রাশিয়া-ইউক্রেনের মূল যুদ্ধ চলছে ডনবাসে। কাছে সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়া থেকে চলে আসছে অস্ত্র ও যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী। ইউক্রেনের জন্য যেটা চিন্তার, মজুত অস্ত্র ফুরিয়ে এসেছে। 

কিয়েভ সরকারের এক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, দিনে ৫০ হাজার রাউন্ড গুলি ছুড়ছে রাশিয়া। ইউক্রেন তার দশ ভাগের এক ভাগ।

পশ্চিমা দেশের অনেকই অস্ত্র পাঠিয়েছে ইউক্রেনে। কিন্তু তা-ও কম পড়ছে। তা ছাড়া, যুদ্ধ এখনই শেষ হওয়ার কোনও ইঙ্গিত নেই। আমেরিকা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ১০৮ এম৭৭৭ হাওয়াইৎজ়ার ও ২ লক্ষ ২০ হাজার রাউন্ড অস্ত্র পাঠাবে। কিন্তু তারও বেশিটাই যুদ্ধক্ষেত্রে রয়েছে। এখনও আমেরিকার হিমারস মাল্টিপল রকেট সিস্টেম আসা বাকি রয়েছে। কিন্তু তা ইউক্রেন হাতে পেলেও ব্যবহার করতে আরও বেশ কয়েক সপ্তাহ চলে যাবে। হিমার ব্যবহার করার আগে ইউক্রেনীয় সেনাকে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

এসি


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি