ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪

দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ভূমি পুনরুদ্ধার নিয়ে আসিয়ানের উদ্বেগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০৮, ৭ আগস্ট ২০২২

দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ভূমি পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান)।

আসিয়ান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা দক্ষিণ চীন সাগরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। সেখানে কিছু মন্ত্রী ভূমি পুনরুদ্ধার, কার্যকলাপ, সামুদ্রিক পরিবেশের ক্ষতিসহ এলাকার গুরুতর ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতি আস্থা ও আত্মবিশ্বাস নষ্ট করেছে, উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে এবং এই অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে।’

গত ৩ আগস্ট আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫৫তম সভা কম্বোডিয়ার নম পেনে অনুষ্ঠিত হয়। ‘আসিয়ান অ্যাক্ট : অ্যাড্রেসিং চ্যালেঞ্জেস টুগেদার’ থিমের অধীনে কম্বোডিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা পারস্পরিক আস্থা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, বিরোধকে জটিল বা বৃদ্ধি করে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে এমন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় আত্মসংযম অনুশীলন করার এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে এমন পদক্ষেপ এড়িয়ে চলার প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেছি।’

১৯৮২ ইউএনসিএলওএসসহ আন্তর্জাতিক আইনের সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত নীতি অনুসারে বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করা করেছে আসিয়ান।

চীন একতরফাভাবে দক্ষিণ চীন সাগরের ভূমিতে কিছু পরিবর্তন করছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরে চীন তার উপস্থিতি বাড়াতে ব্যস্ত ছিল। তারা দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত প্যারাসেল এবং স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জ পরিচালনার জন্য দুটি জেলা প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছে।

এর আগে, বেইজিং এই অঞ্চলে তার সার্বভৌমত্ব পুনঃনিশ্চিত করার জন্য দক্ষিণ চীন সাগরে ২৫টি দ্বীপ বা প্রাচীর এবং সমুদ্রের নিচের ৫৫টি সত্তার জন্য নতুন নাম জারি করেছিল।

সাগর আইনের ওপর জাতিসংঘের কনভেনশন (ইউএনসিএলওএস), ১৯৮২ একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা সামুদ্রিক এবং সামুদ্রিক কার্যক্রমের জন্য আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে। এটি সমুদ্র আইন নামেও পরিচিত। এটি সামুদ্রিক অঞ্চলগুলিকে পাঁচটি প্রধান অঞ্চলে বিভক্ত করে যথা- অভ্যন্তরীণ জল, আঞ্চলিক সাগর, সংলগ্ন অঞ্চল, একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইইজেড) এবং উচ্চ সমুদ্র।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার এবং পক্ষগুলোর মধ্যে আস্থা ও আত্মবিশাস বাড়াতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছি এবং আমরা ১৯৮২ সালের ইউএনসিএলওএসসহ আন্তর্জাতিক আইন সমুন্নত রাখার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছি।’

ইউএনসিএলওএস হলো একমাত্র আন্তর্জাতিক কনভেনশন যা সামুদ্রিক স্থানগুলিতে রাষ্ট্রীয় এখতিয়ারের জন্য একটি কাঠামো নির্ধারণ করে এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক অঞ্চলকে আলাদা আইনি মর্যাদা প্রদান করে।

বিবৃতিতে আসিয়ান আরও বলেছে, ‘আমরা দাবিদারদের এবং অন্যান্য সমস্ত রাষ্ট্রের সমস্ত কার্যকলাপ পরিচালনার ক্ষেত্রে অ-সামরিকীকরণ এবং আত্মসংযমের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছি। কারণ বর্তমান অবস্থা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে পারে এবং দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা বাড়াতে পারে।’ সূত্র : এএনআই।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি