ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হত্যার পর প্রেমিকার কাটা মাথা রাখেন ফ্রিজে

মাথার সঙ্গে কথা বলতেন, মেকআপ করতেন, রাগলে চড়ও মারতেন প্রেমিক

একুশে টেলিভিশন ডেস্ক

প্রকাশিত : ১৩:৩৭, ১৬ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৩:৩৮, ১৬ নভেম্বর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে হত্যার পর তার কাটা মাথার সঙ্গে প্রতি রাতে কথা বলতেন প্রেমিক আফতাব। দিল্লি পুলিশ তাকে জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে। শুধু তাই-ই নয়, শ্রদ্ধার কাটা মাথা ফ্রিজ থেকে বের করতেন, সেটাকে মেক আপ করাতেন বলে জানিয়েছেন আফতাব। আবার সেই কাটা মাথার সঙ্গে কথা বলতে বলতে রাগ হলে তার গালে চড়ও মারতেন। খবর আনন্দবাজারের।  

খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ জানতে পেরেছে, শ্রদ্ধাকে খুনের পর ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আরও এক তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে আফতাব। যখনই ওই তরুণীকে ছতরপুরের বাড়িতে ডেকে আনতেন, তার আগেই শ্রদ্ধার কাটা মাথা ফ্রিজে রেখে দিতেন। তার শরীরের টুকরোগুলি আলমারিতে ঢুকিয়ে রাখতেন। শুধু তাই-ই নয়, যেখানে যেখানে শ্রদ্ধার দেহাংশ রাখতেন, সেখানে পরে সালফার হাইপোক্লোরিক অ্যাসিড দিয়ে পরিষ্কার করে দিতেন, যাতে ফরেন্সিক তদন্তের সময় কোনও প্রমাণ না মেলে।

আফতাবের এক প্রতিবেশী ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ় ১৮-এর কাছে দাবি করেছেন, রোজ রাতে আফতাবের ঘর থেকে পানির পাম্প চালানোর আওয়াজ আসত।

প্রতিবেশীদের দাবি থেকে পুলিশের ধারণা, যেহেতু রাতে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে কাটতেন আফতাব, সেই আওয়াজ যাতে বাইরে কোনও ভাবে না পৌঁছায়, তাই ওই কাজ করার সময় পানির পাম্প চালিয়ে দিতেন। 

প্রতিবেশীরা আরও জানিয়েছেন, আফতাব পড়শিদের সঙ্গে বেশি কথা বলতেন না। সন্ধ্যায় ঘরে ঢুকতেন। অনলাইনে খাবার আনাতেন। 

পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুনের পর ১৯ তারিখ সকালে কাছের একটি বাজারে গিয়েছিলেন আফতাব। সেখান থেকে ৩০০ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন। ক্রেডিট কার্ডে ফ্রিজের ২৩ হাজার ৫০০ টাকা বিল মেটান তিনি। তার পর সেখান থেকে ছুরি, কাঁচির দোকানে যান। সেখান থেকে ছুরি কেনেন, সঙ্গে বেশ কিছু প্লাস্টিকের ব্যাগও কিনে এনেছিলেন। শ্রদ্ধাকে খুনের অভিযোগ গত ১২ নভেম্বর আফতাবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি