ঢাকা, শুক্রবার   ১০ মে ২০২৪

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ বন্যা, বিপর্যস্ত জনজীবন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০২, ৯ জানুয়ারি ২০২৩

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া অঙ্গরাজ্যের কিমবারলিতে ঘূর্ণিঝড় এলি’র প্রভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের বাসিন্দারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এমন বন্যা ১০০ বছরের মধ্যে একবারই ঘটে। 

সামরিক হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর শত শত সদস্যকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ত্রাণ উদ্যোগে নেতৃত্বদানকারী এক কর্মকর্তা জানান, দৃষ্টিসীমার মধ্যে থাকা সব অঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। গত সপ্তাহে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে এই দুর্যোগের সৃষ্টি হয়।

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার জরুরি সেবা মন্ত্রী স্টিফেন ডওসন পার্থে সংবাদদাতাদের জানান, ‘সব জায়গায় পানি ঢুকে পড়েছে।’

তিনি আরো জানান, ‘কিমবারলির মানুষ এমন এক বন্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা ১০০ বছরে একবার হয়। এটাই পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার ঘটনা।’

কিছু কিছু জায়গায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বন্যার পানি বিস্তৃত হয়েছে বলেও জানান ডওসন।

আবহাওয়া অধিদফতর রোববার জানিয়েছে, ঝড়টি পূর্বদিকে চলে যাওয়ায় বৃষ্টিপাত কমেছে। তবে তারা সতর্ক করে, কিমবারলিতে এখনো ‘নতুন রেকর্ড সৃষ্টিকারী বন্যা’ অব্যাহত রয়েছে।

অধিদফতরের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ‘অনেক সড়ক এখনো চলাচলের উপযোগী নয় এবং এখনো অনেক মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে।’

বন্যার কারণে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে নির্ণয় করা কঠিন। তবে কর্তৃপক্ষের মতে, সব কিছু আগের পর্যায়ে ফিরিয়ে নিতে কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ শনিবার এই বন্যাকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে অভিহিত করেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্যাদুর্গতদের সহায়তা করতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও, আটকে পড়া বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য চিনুক হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি