৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশিত : ১০:০৭, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
ফিলিস্তিনি পাসপোর্টধারী এবং সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলো হলো বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, সিয়েরা লিওন, লাওস ও সিরিয়া।
ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতীয় ও জননিরাপত্তা–সংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবিলায় স্ক্রিনিং, যাচাই–বাছাই এবং তথ্য আদান–প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর স্থায়ী ও গুরুতর ঘাটতির কারণেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নতুন এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ১৯টি দেশের নাগরিকদের অভিবাসন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই ১৯টি দেশ হলো আফগানিস্তান, মিয়ানমার, বুরুন্ডি, শাদ, কিউবা, রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লাওস, লিবিয়া, সিয়েরা লিওন, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, টোগো, তুর্কমেনিস্তান, ভেনেজুয়েলা এবং ইয়েমেন।
পরে গত ৪ ডিসেম্বর দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, এই তালিকায় থাকা দেশের সংখ্যা অন্তত ৩২টিতে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে বাকি ১৩টি দেশের নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
এর আগে গত জুনে ট্রাম্প প্রশাসন ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা এবং আরও সাতটি দেশের নাগরিকদের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। ওই নিষেধাজ্ঞাগুলো এখনো বহাল রয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে ১৫টি দেশের ওপর আংশিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, যার মধ্যে নাইজেরিয়াও রয়েছে।
জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি জোরদার করেছে। সাম্প্রতিক মাসে ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনাও এসব পদক্ষেপ আরও কঠোর করার পেছনে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এমআর//
আরও পড়ুন










