ঢাকা, শনিবার   ০৫ জুলাই ২০২৫

বিপুল পরিমান কনডম মিলল রাম রহিমের ডেরায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:০৩, ৩১ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১২:১১, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া ভারতের কথিত ধর্মগুরু রাম রহিমের ডেরা থেকে বিপুল পরিমাণ কনডম ও জন্মনিরোধক পিল পাওয়া গেছে। দেশটির সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) অভিযান চালিয়ে এসব কিছু জব্দ করেছে।


যুক্তরাষ্ট্রের হাফিংটন পোস্টের অনলাইন সংস্করণে এক প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়েছে। এ মামলার প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা এম নারায়ণ ভারতের একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।


এম নারায়ণ বলেন, ‘তাঁর (রাম রহিম) কক্ষে বিপুল পরিমাণ কনডম ও জন্মনিরোধক বড়ি মজুত করা ছিল। তিনি একজন উন্মাদ। বন্য পশুর মতো।’


আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাম রহিমের ডেরা ভিতরে বিশাল বিশাল ঘর, তার অধিকাংশ অংশই সোনায় মোড়া। ঘরের বেশির ভাগ আসবাবপত্রই ইম্পোর্টেড। এছাড়াও রয়েছে ঘর সাজানোর দামি দামি জিনিস।


তাঁর শোওয়ার ঘর থেকে মিলেছে প্রচুর হার্ট শেপের বালিশ। আলমারি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে কন্ডোম, গর্ভনিরোধক বড়ি। মিলেছে বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী, সেক্স টনিক, অশ্লীল সিডি ও ভিডিও।


ওই প্রতিবেনদে আরও বলা হয়, প্রচুর বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে গুরমিতের গ্যারাজে। লেক্সাস থেকে রেঞ্জ রোভার— গাড়ির সংখ্যা অগুন্তি। নিজের আরাম ও সুবিধার জন্য নিজস্ব গাড়ি ডিজাইনিং ইউনিটে সেগুলির ডিজাইনও বদল করা হত।


বেশির ভাগ গাড়িতেই থাকত পার্টিশন। যাতে গাড়ির পিছনের সিটে কী হচ্ছে তা চালক দেখতে না পান। গাড়ির মধ্যে মিলেছে, মহিলাদের প্রচুর অন্তর্বাসও।


এছাড়াও তাঁর ৭০০ একর জমির ডেরার মধ্যে ছিল ৪টি স্কুল, তার মধ্যে দু’টি আন্তর্জাতিক স্কুল। ২টি কলেজ, হাসপাতাল, মেডিক্যাল সেন্টার, বিয়ের জন্য হল, ক্রিকেট স্টেডিয়াম, পেট্রল পাম্প, যোগাযোগ ও তথ্য কেন্দ্র, রিসর্ট, শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, রেস্তোরাঁ— সবই রয়েছে ডেরার চৌহদ্দিতে।


আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কাউকে খতম করার দরকার হলে বাবার হয়ে সেই কাজ করত তাঁর ডেথ স্কোয়াড। ১০ জন করে নাকি থাকত সেই স্কোয়াডে।


এদিকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রায় ঘোষণার সময় আদালতে গুরমিত রাম রহিম নিজেকে নপুংসক বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘১৯৯০ সাল থেকে আমি শারীরিকভাবে অক্ষম, নপুংসক। আমার পক্ষে কাউকে ধর্ষণ করা সম্ভব নয়।’ এ সময় আদালত বলেন, আপনি মিথ্যে বলছেন, কারণ আপনার সন্তান রয়েছে।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি