ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪

পুতিনের বিরুদ্ধে লড়বেন তার ‘গুরু’র মেয়ে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৭, ২৪ অক্টোবর ২০১৭

আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতার করবেন পুতিনের ‘রাজনৈতিক গুরু’ আনাতোলি সোবচাকের মেয়ে কেসেনিয়া সোবচাক।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের ঘোষণা দেন কেসেনিয়া। রুশ টেলিভিশন রেইন টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পক্ষে নিজের যুক্তি তুলে ধরে কেসেনিয়া বলেন, গত ১৭ বছরে গড়ে ওঠা রাশিয়ার নতুন প্রজন্ম অন্য এক রাশিয়া দেখতে চায়, যে রাশিয়া হবে সভ্য ও পুরোপুরি ইউরোপীয় এক দেশ।

কোনো কোনো বিশ্লেষক অবশ্য কেসেনিয়ার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। আসলেই কি তিনি পুতিনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রার্থী হচ্ছেন? নাকি পুতিনের প্রকৃত বিরোধী শক্তিকে দুর্বল করতে ক্রেমলিনের হয়ে প্রার্থী হচ্ছেন?

সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়াশোনা করা কেসেনিয়া রাজনৈতিক পরিবারেরই সন্তান। তার বাবা আনাতোলি সোবচাক ছিলেন সেন্ট পিটার্সবার্গের মেয়র। রাজনীতিতে নিয়ে আগে তেমন আগ্রহী ছিলেন না কেসেনিয়া। বরং রুপালি পর্দার জীবন তাকে টেনেছিল বেশি। ২০১২ সালে পুতিনবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভের সময় তাতে যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন কেসেনিয়া।

রেইন টিভিতে উপস্থাপক হিসেবে কাজ করাটাও তার পরিচিতিতে কাজে লেগেছে। তিনটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন কেসেনিয়া। শৌখিন কেসেনিয়াকে অনেকেই রাশিয়ার ‘প্যারিস হিলটন’ বলেও চেনেন। ৩৫ বছর বয়সী কেসেনিয়া একাধারে অভিনেত্রী, টিভি উপস্থাপক ও মডেল। রুশ প্লেবয় সাময়িকীর প্রচ্ছদকন্যা হয়েছেন। করেছেন সাংবাদিকতাও।

ব্লগার হিসেবেও জনপ্রিয় কেসেনিয়া। টুইটারে ফলোয়ার সংখ্যা ৪ লাখ ৩০ হাজার।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্দেহবাদীরা বলছেন, কেসেনিয়ার পরিবারের সঙ্গে পুতিনের পরিচয় বেশ পুরোনো। কেসেনিয়ার প্রয়াত বাবা সেন্ট পিটার্সবার্গের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় (১৯৯১-৯৬) তার ডেপুটি ছিলেন পুতিন। কেসেনিয়ার বাবাকে পুতিনের ‘রাজনৈতিক গুরু’ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে ‘গুরুর’ সঙ্গে পরামর্শও করতে দেখা গেছে পুতিনকে। বর্তমান রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেরও ‘রাজনৈতিক গুরু’ ছিলেন কেসেনিয়ার বাবা।

এদিকে পুতিনকে জিততে সহায়তা করতে প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কেসেনিয়া। তিনি ব্লগে লিখেছেন, এই ধারণা পুরোপুরি মিথ্যা। প্রেসিডেন্টের দপ্তরের সঙ্গে আমার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো যোগাযোগ নেই । তাদের আশীর্বাদও প্রয়োজন নেই আমার। আমার বিষয়ে আমিই সিদ্ধান্ত নেব।

পুতিনের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যালেক্সি নাভালিনকে বন্ধু ও মিত্র বলে আখ্যা দিয়ে কেসেনিয়া বলেন, নাভালনি নির্বাচনে প্রার্থী হলে তার সমর্থনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন।

 

সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট

এমআর / এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি