ঢাকা, রবিবার   ২৬ মে ২০২৪

ব্রিটেনে মন্ত্রী-এমপিদের যৌন কেলেংকারির নানা কাহিনী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০৯, ১ নভেম্বর ২০১৭

ব্রিটেনের পার্লামেন্ট সদস্য এবং মন্ত্রীদের হাতে বিভিন্ন সময় কয়েকজন যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনা গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর এ নিয়ে ব্যাপক হৈ চৈ শুরু হয়েছে।

ব্রিটেনের পত্রিকাগুলো এখন প্রতিদিনই এ নিয়ে নানা রকম খবর ছাপছে। যাদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠছে তার মধ্যে কনজারভেটিভ এবং লেবার উভয় দলেরই সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী-এমপিরা রয়েছেন। কমন্স লিডার এ্যান্ড্রেয়া লিডসম বলেছেন, ক্যাবিনেট অফিস সুনির্দিষ্ট অভিযোগগুলো নিয়ে তদন্ত করছে।

প্রথমে খবর বের হয় যে পার্লামেন্টের গবেষক ও সহকারীরা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ব্যবহার করে প্রধান দুই দলের এমপিদের খারাপ ব্যবহার সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করছেন। তারপরই দ্য টাইমস রিপোর্টে বলা হয় যে, একজন মন্ত্রীসহ চারজন এমপি বহুদিন ধরে ওয়েস্টমিনস্টারে তরুণী মেয়েদের যৌন হয়রানি করে আসছেন। তাদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে সহকারীকে ‘যৌন খেলনা’ কিনে আনার অভিযোগ উঠেছে। আরেকজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ১৯ বছর বয়স্ক এক তরুণীর সাক্ষাতকার নেবার পর তার স্তন নিয়ে মন্তব্য করেন।

এর মধ্যে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যার মাইকেল ফ্যালন সান পত্রিকার কাছে স্বীকার করেছেন যে তিনি সাংবাদিক ও রেডিও উপস্থাপিকা জুলিয়া হার্টলি-ব্রুয়ারের হাঁটু অশোভনভাবে স্পর্শ করেছিলেন। কয়েকজন বলেছেন, এসব ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করলেও কোনো ফল হয়নি। এন্ড্রেয়া লিডসম স্বীকার করেছেন যে এসব অভিযোগ আমলে নেবার বর্তমান পদ্ধতি যথেষ্ট নয়।

এসব ঘটনার রিপোর্ট বের হওয়ার পর পার্লামেন্টের স্পিকার জনি বারকো ও লেবার নেতা জেরেমি করবিনসহ সিনিয়র রাজনীতিবিদরা এর তীব্র নিন্দা জানান।

গতকাল দৈনিক টেলিগ্রাফের শিরোনাম এসেছে, যৌন কেলেংকারীতে জড়িত এমপিদের টাকা খরচ নিয়ে যে হৈচৈ হয়েছিল - তাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। লন্ডনের মেট্রো পত্রিকায় শিরোনাম করেছে `পেস্টমিনস্টার ক্র্যাকডাউন` - অর্থাৎ যৌন-কীটদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। টাইমস শিরোনাম করেছে যে এর ফলে কিছু মন্ত্রী বরখাস্ত হতে পারেন। সূত্র: বিবিসি

এম/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি