ঢাকা, শনিবার   ১১ মে ২০২৪

রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন পল রায়ান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫৩, ১২ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৭:৪২, ১২ এপ্রিল ২০১৮

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল থেকে একে একে অবসরে যাচ্ছেন দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। এবার সেই কাতারে যুক্ত হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ও দলটির সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিক পল রায়ান। আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় নিম্নক্ষের নির্বাচনে তিনি আর অংশগ্রহণ করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে রায়ান অবসরে যাওয়ার এই ঘোষণা দেন।

সন্তান ও পরিবারকে আরও সময় দিতে চান জানিয়ে কংগ্রেসের এই প্রভাবশালী আইনপ্রণেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি যদি আরও এক মেয়াদে থাকি, সন্তানেরা কেবল আমাকে সাপ্তাহিক বাবা হিসেবে পাবে। আমি এটা হতে দিতে পারি না।’ ৪৮ বছর বয়সী রায়ান ১৯৯৯ সাল থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছেন। দুই যুগ ধরে তিনি দলটির নির্বাচিত সংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আগামী জানুয়ারীতে বর্তমান মেয়াদ শেষে অফিস ত্যাগ করবেন তিনি।

এদিকে রায়ানের এই সিদ্ধান্ত আগামী মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রবীণ রাজনীতিকদের মতো রায়ানও দল ছেড়ে একান্তে সময় কাটাতে চাচ্ছেন। জানা গেছে, আগামী অক্টোবরের মধ্যে দলটি থেকে অন্তত ৪০ সদস্য অবসরে যাচ্ছেন।

এর আগে গত সপ্তাহে দলটি থেকে বিদায় নেন কংগ্রেসের সবচেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়ী এরিক ক্লিনটও। এরিক ক্লিনটন পল রায়ানের ভালো বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে দলটি ডেমোক্রেটদের কাছে গো হারা হারতে পারে, এমন আশঙ্কাই রিপাবলিকানদের জনপ্রিয় নেতারা আগেভাগেই সরে যাচ্ছেন। পল রায়ানও এমনটি আঁচ করতে পেরে আগেভাগে সরে দাঁড়াচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

উইনকিনসে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজত্ব চালিয়ে যাওয়া পল রায়ানের হঠাৎ অবসরের ঘোষণাকে অনেকেই মানতে পারছেন না। পল রায়ান দলটির তহবিল সংগ্রসে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখে আসছিল। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনের জন্য ৫৪ মিলিয়ন ডলার অর্থ সংগ্রহ করেছেন পল রায়ান। তবে দল ও রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালেও অর্থ সংগ্রহসহ দলটির জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন বলে ধারণা করছেন দলটির নীতি নির্ধারকরা।

এদিকে পল রায়ানসহ সিনিয়র অনেক নেতা রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘটনায় রিপাবলিকান শিবিরে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিতে ডেমোক্র্যাটদের প্রয়োজন ২৩টি আসন। আর জনপ্রিয় রিপাবলিকানরা একের পর এক সরে দাঁড়ানোর ঘটনায় ডেমোক্রেটদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়ে হবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেক রিপাবলিকান।

সূত্র: টেলিগ্রাফ,  এনবিসি, ফক্স নিউজ
এমজে/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি