ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ইমরান খান কি জয়ের গন্ধ পাচ্ছেন? 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:০৭, ২১ জুলাই ২০১৮

পাকিস্তানে আগামী সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পূর্বে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ।  

ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া এই নেতা বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে “তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা হারবেন তাদের অতীত কৃতকর্মের জন্য”।

এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কিনা সে নিয়ে পাকিস্তানে যে উদ্বেগ রয়েছে তাও তিনি নাকচ করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, অন্য দলগুলো বেশ হঠাৎই বলতে শুরু করেছে যে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। এর কারণ হল জনমত জরিপে দেখা যাচ্ছে- পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ এগিয়ে রয়েছে। তারা আসলে ইতিমধ্যেই, ভাগ্যের লিখন দেখতে পাচ্ছে।

গত পাঁচ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ দলটির সমর্থক ও দেশটির মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করছেন যে ইমরান খানের দলকে জেতাতে দেশটির সেনাবাহিনী নির্বাচনের ফল `সাজাচ্ছে`।

পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনকে মূলত এই দুটি দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা বলে মনে করা হচ্ছে।

তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের উত্থান মাথায় রেখেই নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়েছে তার দল।

পাকিস্তানের নির্বাচনে ইমরান খান দেশটির দুর্নীতি দমনকে তার প্রধান নীতি হিসেবে ব্যবহার করছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াজ শরিফকে এমাসের শুরুতে দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির দুর্নীতি দমন আদালত।

জুলাইয়ের ১৩ তারিখ যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেই গ্রেফতার হন নওয়াজ শরীফ ও তার মেয়ে। ওই দিনই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। গত বছর দুর্নীতির অভিযোগে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।

ইমরান খান বেশ কিছুদিন ধরে যে অভিযোগে তিনবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করছিলেন, সেই অভিযোগেই তার সাজা হল।

ইমরান খান আরও বলেছেন, দুর্নীতির কারণে একটি দেশের ব্যয়ভার বহন করার অর্থ থাকে না, মানব উন্নয়নের জন্য অর্থ থাকে না। এ সম্পর্কে এই মামলাটি জনসচেতনতা তৈরি করেছে।

রাজনীতির বিশ্লেষকরা বলছেন, নওয়াজ শরিফের কারাদণ্ডের পেছনের কারণ আসলে তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে সেনাবাহিনীর সাথে বিবাদে জড়িয়েছিলেন।

পাকিস্তান রাষ্ট্র জন্মের অর্ধেকটা সময়ই দেশটির সবকিছুর নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করেছে সেখানকার সেনাবাহিনী।

নওয়াজ শরীফ দাবি করেছেন, তার দল যাতে জয়ী না হয় তাই দেশটির সেনাবাহিনী ভোটের আগেই `ফল কারচুপির` কার্যকলাপে নেমেছে।

তার দলের বেশ কয়েকজন প্রার্থী অভিযোগ তুলেছেন যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের দল ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এমএইচ/এসি 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি