ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ মে ২০২৪

থাইল্যান্ড পুলিশে নারী ক্যাডেট নিয়োগ বন্ধ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:২৭, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৭:৫৩, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

থাইল্যান্ডের রয়েল পুলিশ ক্যাডেট অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে তারা আর নারী ক্যাডেট ভর্তি করবে না৷ অনলাইনে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে অ্যাকাডেমি৷ তবে কেন এমন সিন্ধান্ত নেওয়া হলো সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। আর এ বিষয়ে মন্তব্য করতেও রাজি হয়নি ওই দেশের পুলিশ প্রশাসন।

শত বছরের পুরনো এই পুলিশ অ্যাকাডেমিতে ২০০৯ সাল থেকে নারী ক্যাডেট নেওয়া শুরু হয়েছিল৷ এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০০ জন নারী সেখান থেকে পাস করে বের হয়েছেন৷

লাল-সাদা পোশাক পরে স্কুলে যাচ্ছেন তারা৷ নিঃসঙ্গতা থেকে বয়স্ক মানুষদের কিছুদিনের জন্য হলেও মুক্তি দিতে দেশজুড়ে বিশেষ স্কুল গড়ে তুলেছে থাইল্যান্ডের সরকার৷
থমসন বলেন, কোনো নারী পুলিশ কর্মকর্তা না থাকলে পারিবারিক সহিংসতা, হয়রানি ও যৌন নিপীড়নের শিকার নারীরা হয়রানির ভয়ে পুলিশের কাছে যাওয়া কমিয়ে দেবে৷

জাতিসংঘের সংস্থা ‘ইউএন ওমেন`-এর গত বছরের এক প্রতিবেদন বলছে, থাইল্যান্ডে প্রায় ৯০ শতাংশের মতো ধর্ষণের ঘটনা অপ্রকাশিত থাকে৷

জার্মানির ফাউন্ডেশন ‘ফ্রিডরিশ-এবার্ট-স্টিফটুং`-এর থাইল্যান্ড শাখার হিসেবে, থাইল্যান্ডে প্রতি বছর ২০ হাজারের বেশি নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে খুব কম ঘটনাই প্রকাশ পায়৷ সমস্যার সমাধানে জার্মান ওই ফাউন্ডেশন থাই পুলিশে নারী সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল, যেন প্রতি থানায় একজন করে নারী পুলিশ নিয়োগ দেওয়া যায়৷ আর এবার কর্তৃপক্ষ ক্যাডেড থেকে নারী পুলিশ নেওয়া বন্ধ করে সেই পথ বন্ধ করলেন।

উল্লেখ্য, দেশটিতে বিদ্যমান ধর্ষণ মামলার আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের শিকার নারীর সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তার৷

এই বাস্তবতায় থাইল্যান্ডের আরেকটি মানবাধিকার সংস্থা ‘ফাউন্ডেশন ফর ওমেন`-এর পরিচালক উসা লার্ডসরিসুন্টাড বলছেন, পুলিশ অ্যাকাডেমির নেওয়া সিদ্ধান্ত থাইল্যান্ডের লিঙ্গ সমতায়ন আইনের পরিপন্থি৷ তিনি বলেন, এটা লিঙ্গ বৈষম্য৷ এমনিতেই নারী পুলিশ কর্মকর্তার সংখ্যা খুবই কম৷ এই সিদ্ধান্তের কারণে তা আরও কমে যাবে৷

বিশ্বব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের মোট জনশক্তির ৪৫ শতাংশ নারী৷ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এই হার কয়েকটি শীর্ষ দেশের মধ্যে একটি৷ কিন্তু পুলিশ বিভাগে নারী কর্মীর সংখ্যা কম৷

তথ্যসূত্র: ডয়েচে ভেলে।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি