ঢাকা, সোমবার   ১১ আগস্ট ২০২৫

১১ বছরের কিশোর যখন প্রকৌশল শিক্ষক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:০৬, ৩ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৮:১১, ৩ নভেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

মহম্মদ হাসান আলি নাম, পড়াশুনা সপ্তম শ্রেণিতে বয়স ১১ বছর । এবয়সে তিনি  শিক্ষা দিচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রদেন। তাবড় তাবড় অধ্যাপকদের রীতিমতো লজ্জায় ফেলে দিয়েছে সে। গত এক বছর ধরে নিজের দ্বিগুণ বয়সি ছাত্রদের ডিজাইনিং ও ড্রাফটিং বিষয় পড়াচ্ছে সে। এর জন্য নিজের ছাত্রদের থেকে অবশ্য কোনও বেতনও নেয় না হাসান। সিভিল, মেকানিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়ারাও শিক্ষকের পড়ানোয় বেশ সন্তুষ্ট।

ইন্টারনেটের কল্যাণেই বিস্ময় বালক হয়ে উঠতে পেরেছে হাসান। তার উদ্দেশ্য একটাই। দেশের ইঞ্জিনিয়াররা যেন এ দেশেই চাকরি করেন। বিদেশে গিয়ে যাতে অন্য কোনও চাকরি না করতে হয় তাঁদের। হাসান বলে, “ইন্টারনেটে একটা ভিডিও দেখছিলাম। সেখান থেকেই জানতে পারলাম, এত লেখাপড়া করেও অনেক ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারই বিদেশে গিয়ে অন্য ধরনের ছোটখাটো কাজ করছে।

তখনই ভাবলাম, আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা ঠিক কোথায় পিছিয়ে পড়ছে। বুঝলাম, টেকনিক্যাল এবং জনসংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রেই মূল সমস্যা। ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও তাই চাকরির অভাবে ভুগছেন অনেকেই। আমার পছন্দ ডিজাইনিং। তাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজে শিখি ও অন্যকে শেখাই।

আর পাঁচজন পড়ুয়ার মতোই রোজ সকালে স্কুলে যায় হাসান। বাড়ি ফিরে লেখাপড়া করে খেলতে বেরিয়ে যায়। আর সন্ধে ৬টা থেকে শুরু হয় তার ক্লাস। শিক্ষক হিসেবে বসে পড়ে ছাত্রদের সামনে। গ্র্যাজুয়েট, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পড়ুয়ারা হাসানের পড়ানোয় মুগ্ধ। হাসানের এক ছাত্র বলছেন, আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ি। এক মাস ধরে এখানে আসছি। ও বয়সে ছোট কিন্তু খুব ভাল বোঝায়।’’ আগামী চার বছরে অন্তত হাজার জন ইঞ্জিনিয়ার তৈরির পরিকল্পনা হাসানের। এখন তার ছাত্র সংখ্যা ৩০।

সূত্র, সংবাদ প্রতিদিন
 
টিআর/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি