ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ব্রাজিলে প্রাণহানি ৩৭ হাজার, আক্রান্ত ৭ লাখ ছুঁই ছুঁই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৮, ৮ জুন ২০২০ | আপডেট: ১০:৪৮, ৮ জুন ২০২০

করোনার সংক্রমণ গত তিনমাসে হু হু করে বেড়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। ইতিমধ্যেই দেশটিতে ভাইরাসটির শিকার প্রায় ৭ লাখ মানুষ, মৃত্যু ৩৭ হাজারের কাছাকাছি। এ সংখা ব্রাজিলকে সংক্রমণে দ্বিতীয় ও প্রাণহানিতে তৃতীয় অবস্থানে নিয়ে গেছে। 

বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ রাষ্ট্রটির এমন অসহায় আত্মসমর্পণে ভেঙে পড়েছে সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা। লাতিন আমেরিকার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রের এমন অবস্থার প্রভাব পড়েছে সহগোত্রীয়দের ওপর। ব্রাজিল ছাড়াও করোনা ভয়াবহ তাণ্ডব চালাচ্ছে পেরু, চিলি আর মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতে।

এমন অবস্থায় দেশের জনগণের দ্বারা কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। দেশটিতে করোনার সংক্রমণ ও মৃতের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি বলে দাবি বিশ্লেষকদের। যার জন্য প্রেসিডেন্টের খামখেয়ালিপণা সিদ্ধান্তই দায়ী বলে মনে করেন তারা। 

এমন অবস্থায় করোনার আর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে না বল ঘোষণা দিয়ে ফের তুমূল সমালোচনার মুখে বলসোনারো। 

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজার ৩৭৫ জনের দেহে মিলেছে করোনা সংক্রমণ। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬ লাখ ৯২ হাজারে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ গেছে ৫৪২ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ৪৯৯ জনে ঠেকেছে। 

সময়ের সাথে আক্রান্তের হার পাল্লা দিয়ে বাড়লেও সে তুলনায় কম সুস্থতার সংখ্যা। তারপরও লাতিন আমেরিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ লাখের বেশি মানুষ করোনা থেকে পুনরুদ্ধার হয়েছেন। 

এদিকে, লাতিন আমেরিকার আরেক দেশ পেরু আক্রান্তে শীর্ষ আটে উঠেছে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছুঁই ছুঁই। যেখানে প্রাণহানি হয়েছে ৫ হাজার ৪৬৫ জনের। 

চিলিতে সংক্রমিতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ১৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিলের পরেই সর্বোচ্চ মৃত্যুর দেশ এখন মেক্সিকো। যেখানে আক্রান্ত ১ লাখ ১৭ ছাড়িয়েছে, প্রাণ গেছে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৩ হাজারের বেশি মানুষের। 

ইকুয়েডরে আক্রান্ত সাড়ে ৪৩ হাজার ১২০ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে সেখানে ৩ হাজার ৬২১ জনের। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। 

আর্জেন্টিনায় সংক্রমণ ২৩ হাজারে কাছাকাছি। মারা গেছে সেখানে ৬৬৪ জন। এছাড়াও পানামায় আক্রান্ত সাড়ে ১৬ হাজার, দেশটির ৩৯৩ জন মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা। 

এমন অবস্থায় লাতিন আমেরিকার দেশগুলো কার্যকরি ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় দিনগুনছে। যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে অবস্থা আরও সংটময় হতে পারে। 

এআই//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি