ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪

দীর্ঘ টালবাহানার পর আলোচনার টেবিলে ভারত-চীন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৩, ৮ জানুয়ারি ২০২২

এর আগে ১৩তম বৈঠকটি হয়েছিল গতবছর ১০ অক্টোবর। তবে সেই বৈঠকে কোনও সমাধানের সূত্র মেলেনি। অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত ভারত ও চীনের সেনারা বৈঠকের দিন স্থির করেছে। 

জানা গেছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুই দেশের সংঘাত নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ১২ জানুয়ারি ফের মুখোমুখি হবে ভারত ও চীনের সৈনিকরা। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের লাদাখ সেক্টরের মূল সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলেপা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক হবে। আশা করা হচ্ছে হটস্প্রিং এলাকায় চলমান অস্থিরতা কমানোর উপায় বেরিয়ে আসবে এই বৈঠক থেকে।

সীমান্ত সংঘাতের আবহে ২০২০ সালের মে মাসে দুই দেশের আলোচনা শুরু হয়েছিল। এরই মাঝে গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে। ভারতের ২০ জন সেনাকর্মী শহীদ হন সেই সংঘর্ষে। চীনেরও প্রায় ৪০ জন সেনাকর্মী হতাহত হন। তবে এরপরও সীমান্তে শান্তি ফেরাতে দফায় দফায় বৈঠক চালিয়ে গিয়েছে দুই দেশ। তবে সমাধান সূত্র এখনও বের হয়নি। এই আবহে পরবর্তী আলোচনার দিন স্থির করা নিয়ে দুই দেশ ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারছিল না। তবে শেষমেষ আলোচনায় বসার দিন স্থির করতে সক্ষম হল দুই দেশ।

জানা গেছে, চুশুলে দুই দেশের সেনারা ১২ জানুয়ারি বৈঠকে বসবে। এই বৈঠকটি হবে দুই দেশের সেনাদের মধ্যকার ১৪তম বৈঠক। এর আগে ১৩তম বৈঠকটি হয়েছিল গতবছর ১০ অক্টোবর। তবে সেই বৈঠকে চলমান অস্থিরতা কমানোর ক্ষেত্রে কোনও সমাধান আসেনি। এরপর থেকে ভারতের পক্ষে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল চীনকে। যদিও সেই সব প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে কোনও সাড়া দেয়নি চীন।

ভারতের দাবি, ডেপসাং থেকে চুমারের মধ্যকার সমস্ত বিতর্কিত জায়গা নিয়েই আলোচনা করতে হবে বৈঠকে। সার্বিক ভাবে সীমান্তে শান্তি ফেরাতে সব সংঘাতের স্থান থেকে সেনা প্রত্যাহার প্রয়োজন বলে মনে করে ভারত। তবে এই ক্ষেত্রে টালবাহানা বজায় রেখেছে চীন। এমন কি গত ১০ অক্টোবরের বৈঠকে চীনের পক্ষে কোর কমান্ডার যোগ দেননি। তাঁর বদলে বৈঠকে ছিলেন তাঁর ডেপুটি। এরপর ‘ভারত-চীন ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কন্সাল্টেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন’-এর পক্ষে বলা হয়েছিল যে যত শীঘ্র সম্ভব ফের দুই দেশের বৈঠক হওয়া উচিত। তবে চীনা সেনা তাতে কর্ণপাত করেনি। বরং অরুণাচলপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গার নামকরণ করে সেখানেও সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরিতে সচেষ্ট হয়েছে বেজিং। এই আবহে দিল্লিও পাল্টা চীনকে বলে, অরুণাচলে অবান্তরভাবে জায়গার নামকরণ বন্ধ করে তাদের উচিত লাদাখ নিয়ে সমস্যা মেটানোর জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি