ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৫

ইন্দোনেশিয়ায় সরকারি ভবনে আগুন, নিহত ২০ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৩, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১০:৫৪, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

ইন্দোনেশিয়ায় এক স্কুল শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ‘বর্ণাদী’ গালি দেয়ার প্রেক্ষিতে শুরু হওয়া সরকারি বিরোধী বিক্ষোভ নতুন করে সহিংস রুপ নিয়েছে। গতকাল সোমবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় পাপুয়া প্রদেশে সরকারি ভবনে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। 

তাদের দেয়া আগুনে অন্তত ২০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৬৫ জন। এখনো বেশ কয়েকজন আটকা পড়েছে বলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়েছে।

সোমবার কয়েকশ বিক্ষোভকারী ওয়ামেনা শহরের একটি সরকারি ভবনসহ আরো বেশ কিছু ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই বিক্ষোভকারীদের অধিকাংশই স্থানীয় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভবনগুলোতে আগুন ধরে যাওয়ায় ভেতরেই আটকা পড়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক শিক্ষকের বর্ণবাদী মন্তব্যের পর থেকেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।

এদিন, প্রদেশটির রাজধানী জয়পুরায় পৃথক ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ঘের ঘটনা ঘটে। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে গুলি চালায় পুলিশ। এতে তিনজন নিহত হয়। পরে বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া পাথরের আঘাতে এক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য প্রাণ হারান। 

চলতি বছরের আগস্টের কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিক্ষোভের কারণে অস্থিরতা শুরু হয়। কয়েকদিন স্থির থাকার পর নতুন করে সহিংসতায় রুপ নেয় আন্দোলন। পাপুয়ার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ইকো দারিয়ানতো এএফপিকে বলেন, সোমবারের সহিংসতা থেকে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। 

তিনি বলেন, অনেক বেসামরিক লোক ভবনটিতে  আটকা পড়েছে।

পশ্চিম পাপুয়া বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র জানান, এক শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের নির্দেশিত বর্ণবাদী গালি দিয়ে ওয়ামেনায় সহিংসতা শুরু হয়েছিল।

তবে পাপুয়া পুলিশ এটিকে অস্বীকার করে বলেছে, শিক্ষার্থীদের নিজেদের পারস্পারিক দ্বন্দ্বের জেরে এ সহিংসতা শুরু হয়েছে। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা।

আই/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি