ঢাকা, রবিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৫

স্যুটকেসে তরুণীর মাথাবিহীন লাশ, বাবা আটক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:১২, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২০:২১, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

মেয়ের অবৈধ মেলামেশাকে মেনে নিতে না পেরে শেষমেশ তাকে হত্যা করেন বাবা। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে মেয়েকে তিন টুকরো করে স্যুটকেসে ভরে রাখেন।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভারতের ঠাণে একটি অটো গাড়ি থেকে ওই তরুণীর মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তরুণীর বাবাকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার ভোরে কল্যাণ রেলওয়ে স্টেশনের বাইরে একটি অটোর ভিতর থেকে ওই স্যুটকেসটি উদ্ধার করা হয়। সেখানকার অটোচালকরাই স্যুটকেসের ব্যাপারে পুলিশকে জানিয়েছিলেন। 

পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘স্যুটকেসের ভিতর এক তরুণীর দেহ উদ্ধার করি আমরা। মাথা নেই। শুধুমাত্র কোমরের নীচের অংশটি রয়েছে। দেহটি তিন টুকরো করা।’

ভোরবেলায় এমন স্যুটকেস উদ্ধারের পর হন্যে হয়ে অপরাধীর খোঁজ শুরু করেন তদন্তকারীরা। তবে কোনো সূত্রই মিলছিল না। শেষমেশ ওই স্যুটকেসের ভিতরের দুর্গন্ধের সূত্র ধরেই মাত্র ৩০ ঘন্টায় অপরাধের রহস্যভেদ করে পুলিশ। আটক করা হয় তরুণীর বাবা অরবিন্দ তিওয়ারিকে। 

পুলিশের দাবি, ‘মেয়ে প্রিন্সির সঙ্গে তার প্রেমিকের মেলামেশা পছন্দ ছিল না অরবিন্দের। বারণ করা সত্ত্বেও প্রেমিকের সঙ্গ ছাড়তে নারাজ ছিল মেয়ে। তাই তাকে খুন করেন তিনি।’

পুলিশ জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের অন্ধেরি এলাকায় একটি লজিস্টিক ফার্মের কর্মী অরবিন্দ টিটবালায় একাই থাকতেন। তার স্ত্রী এবং চার মেয়ে থাকেন উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে। তবে মাস চারেক আগে রোজগারের সন্ধানে সেখান থেকে মুম্বই আসেন অরবিন্দের ২২ বছরের মেয়ে প্রিন্সি। সেখানে একটি সংস্থার কাজ করার সময়ই সম্পর্ক গড়ে ওঠে এক সহকর্মীর সঙ্গে। তবে সে সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি অরবিন্দ। 

পুলিশের দাবি, বারণ সত্ত্বেও কথা না শোনায় মেয়েকে খুনের পরিকল্পনা করেন অরবিন্দ। প্রাথমিকভাবে অনুমান স্যুটকেস উদ্ধারের দিন দুয়েক আগেই মেয়েকে খুন করেন তিনি। তবে এখনও পর্য়ন্ত প্রিন্সির দেহের বাকি অংশ এবং খুনের অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তবে মাত্র ৩০ ঘণ্টার মধ্যে এই অপরাধের রহস্যভেদ করার জন্য তদন্তকারীদের পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ঠাণের পুলিশ কমিশনার বিবেক ফণসালকর।

এআই/এসি
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি