ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

সাইমন ড্রিং বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৬, ২৯ জুলাই ২০২১

‘বাংলাদেশের মানুষকে চিরদিনের জন্য ঋণী করে গেছেন সাংবাদিক সাইমন ড্রিং। তিনি বাংলাদেশের জন্ম-ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে গতকাল বুধবার সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ও মুক্তিযুদ্ধ ’৭১ আয়োজিত স্মরণসভায় একথা বলেন বক্তারা। 

সাইমন ড্রিংয়ের স্মৃতি রক্ষায় তার নামে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে একটি কর্নার এবং ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বা স্থাপনার নামকরণের আহ্বান জানান বক্তারা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে সাইমন ড্রিংয়ে জীবন ও কর্ম পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করারও কথা বলেন তারা।

ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি নুরুল আলমের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য দেন মহাসচিব হারুন হাবীব, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি লেখক-গবেষক মফিদুল হক, ফোরামের অন্যতম সহ-সভাপতি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাষ্টি ও সাইমন ড্রিংয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আক্কু চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মনসুর আহমদ, ডা. আব্দুস সালাম এবং ড. খন্দকার শওকত হোসেন। 

স্মরণসভা সঞ্চালনা করেন ফোরামের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য মাহজাবিন খালেদ।

হারুন হাবীব বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় অনন্য সাহসী ভূমিকা রাখা সাংবাদিক সাইমন ড্রিং বাংলাদেশের জন্ম-ইতিহাসের চিরঞ্জীব সাক্ষী। নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বর্বরতার স্বরূপ তুলে ধরায় তার কাছে বাঙালি জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকবে।

ডা. সারওয়ার আলী বলেন, এই মানুষটির হাতেই দেশের ইতিহাসের প্রথম বেসরকারি টেরিস্ট্রিয়াল টিভি একুশে টেলিভিশনের গোড়াপত্তন হয়েছিল, যা তার জীবনের আরেক অনন্য কীর্তি।

মফিদুল হক বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন সাইমন ড্রিং বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ অংশ হিসেবে বেঁচে থাকবেন।

আক্কু চৌধুরী নেপালের পোখরা থেকে স্মরণসভায় যোগ দেন। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, সাইমন মনেপ্রাণে বাংলাদেশকে ভালোবাসতেন। একাত্তর এবং পরবর্তী সময়ের ভূমিকায় যার স্বাক্ষর তিনি রেখে গেছেন। তিনি দুঃখের সঙ্গে বলেন, ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সাইমন ড্রিংকে দেশ থেকে বহিস্কার করেছিল; যা ছিল একটি জাতীয় লজ্জা।

অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, এই কালজয়ী ব্রিটিশ সাংবাদিক একাত্তরে দুঃসাহসী ভূমিকার জন্যে বাঙালির স্মৃটিপটে অমর হয়ে থাকবেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বন্ধু সাংবাদিক সাইমন ড্রিং গত ১৬ জুলাই রোমানিয়ার একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় মারা যান।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি