শাহ কিবরিয়া হত্যার ১৭ বছর
প্রকাশিত : ১০:১৬, ২৭ জানুয়ারি ২০২২

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যার ১৭ বছর পূর্ণ হলো। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় এই হত্যার বিচারকার্য অনেকটাই থমকে আছে।
২০০৫ সালের এই দিনে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ কিবরিয়া। সভা শেষে ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় তিনি ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জন নিহত হন। আহত হন ৪৩ জন।
এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়।
কিন্তু দফায় দফায় তদন্তের বেড়াজালে আটকে থাকা রোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়েছে প্রায় ৬ বছর আগে। নানা কারণে বিচারকাজেও সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘসূত্রিতা। ১৭১ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
এ অবস্থায় বিচার নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা।
মামলার মোট আসামি ৩২ জনের মধ্যে জামিনে আছেন ১২ জন। পলাতক সাত জন এবং হাজতে আছেন ১০ জন। এছাড়া অন্য মামলায় তিন আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে ঈদ-পরবর্তী আওয়ামী লীগের এক জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
ওই হামলায় তাঁর ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত হন।
ঘটনার পরদিন হত্যা মামলা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। পরে মামলা দুটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালে ১৮ মার্চ শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাইউমসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।
এ অভিযোগপত্রের বিষয়ে আদালতে নারাজি আবেদন করে বাদীপক্ষ। পরে মামলার পুনঃ তদন্তের পর ২০১১ সালের ২০ জুন দ্বিতীয় দফা অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এ নিয়েও আপত্তি জানায় নিহত কিবরিয়ার পরিবার।
এএইচ/
আরও পড়ুন